সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যখন তখন কাজের সময় স্বাস্থ্যভবনে আসতে পারবেন না ডাক্তারবাবুরা। স্বাস্থ্যভবন কোনও দর্শনীয় জায়গা নয়। আসতে গেলে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি না হলেও নিদেনপক্ষে বিভাগীয় প্রধানের চিরকুট নিয়ে স্বাস্থ্যভবন যেতে হবে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের বিশেষ সচিবের (স্বাস্থ্য শিক্ষা) এমন নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষ করে জুনিয়র এবং সহকারী অধ্যাপক পদের চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের নির্দেশকে হাতিয়ার করে পালটা ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ডাক্তার সংগঠন। তাঁদের যুক্তি, ঠিকই তো, স্বাস্থ্য ভবন কোনও ঘোরার বা দর্শনীয় স্থান নয়। সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ও সহকারী অধ্যাপক অথবা রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার পদের চিকিৎকরা স্বাস্থ্যভবনে আসেন রোগী অথবা হাসপাতাল অথবা খুব জরুরি ব্যক্তিগত কোনও দরকারে। যখন মেডিক্যাল কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর থেকে ন্যায্য দাবি পাওয়া যায় না। সেইসময় স্বাস্থ্যভবন একমাত্র ভরসার জায়গা। সেই জায়গা কী বন্ধ হতে চলেছে? প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি চিকিৎসক সংগঠন।
যদিও স্বাস্থ্যভবনের স্পেশাল সেক্রেটারি (স্বাস্থ্য শিক্ষা) ডা. অনিরুদ্ধ নিয়োগীর তরফে জানানো হয়েছে, একে নির্দেশ বলা যাবে না। রাজের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, উপাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রধান অধ্যাপকদের হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, জুনিয়র ও সহকারী অধ্যাপক পদের ডাক্তারদের স্বাস্থ্যভবনে আসতে গেলে নিদেনপক্ষে চিরকুটে লিখে নিয়ে আসতে হবে। যেখানে উল্লেখ্য থাকবে তিনি কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছেন। এনিয়ে স্বাস্থ্যভবনের ব্যাখ্যা, দেখা গেল সংশ্লিষ্ট ডাক্তারবাবু কলেজ অথবা হাসপাতাল থেকে চলে গেলেন সেই সময় জরুরি দরকার পড়ল। তাই আগে থেকে কর্তৃপক্ষ জানা থাকলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক আগে থেকে রাখা সম্ভব হবে। দ্বিতীয়ত, কাজের সময় স্বাস্থ্যভবনে না গিয়ে ফোনেও কথা বলা সম্ভব। যদিও ওই মেসেজ ঘিরে সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বিতর্ক তুঙ্গে।