সুব্রত বিশ্বাস: পুজোর ভিড়ে যাত্রী সুরক্ষার জন্য এবার ‘এসওপি’ চালু করল রেল পুলিশ (Rail Police)। ট্রেন গার্ড থেকে স্টেশনের ভিড়ে যাত্রী নিরাপত্তার জন্য যে সব রেল পুলিশ ও পুলিশ কর্তারা দায়িত্বে থাকবেন তাদের জন্য তৈরি হয়েছে এই ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রোসিডিওর’ (SOP)। সুরক্ষার প্রথমেই উল্লেখ রয়েছে যাত্রীদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করার কথা। যে কোনওরকম অভিযোগ করলে তা আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে। কোনওভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা চলবে না।
রেল পুলিশের আইজি (IG) দেবব্রত দাস জানিয়েছেন, যাত্রী সুরক্ষার মূল বিষয়টি পুলিশের হাতে থাকে, তাই তাদেরই উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, পুজোয় রাজ্যবাসী ভ্রমণে বেরোন। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ (North Bengal) ও ঝাড়গ্রামে (Jhargram) এই ভিড় থাকে বেশি। তাই এবার ওই দুই স্টেশনে ‘টুরিস্ট অ্যাসিসটেন্ট বুথ’ তৈরি করা হয়েছে। এখানে পুলিশদের কাজ হবে পর্যটকদের সহযোগিতা করা।
[আরও পড়ুন: পণ্য থেকে ক্যানসার! ডাবরের সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ]
পাশাপাশি ভিড় বেশি হলে সেই স্টেশনগুলিতে জেলা পুলিশ ও আরপিএফের (RPF) সহযোগিতা নিতে হবে প্রয়োজন অনুযায়ী। মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকদের সব রকমের সহযোগিতা করতে হবে পুলিশকেই। ট্রেন বা স্টেশন যে কোনও জায়গায় অসুবিধায় পড়লে এগিয়ে আসতে হবে পুলিশকে। রাতের ট্রেন ও স্পেশালগুলিতে মদ, গাঁজা নিষিদ্ধ সামগ্রীর ব্যবহার করলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে অপারাধীদের প্রতি। সম্প্রতি প্রায় সাড়ে তিনশোজনকে শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশনের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাওড়া (Howrah) ডিভিশনের লোকাল ট্রেনের ভেন্ডার কামরাগুলিও রাতের দিকে বারে পরিণত হয় সেদিকেও পুলিশ নজর দেবে।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে FIR নয়, হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি]
রেল পুলিশ নিজেও আইন রক্ষকের ভূমিকার দায়িত্ব থেকে বেরিয়ে কোনওরকম বেআইনি কাজ যাতে না করে তা দেখতে ভারপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে আকছার ধরপাকড়ে নিষেধাজ্ঞা জারির পর বেশ কিছু থানা বহিরগতদের দিয়ে ধরপাকড় করাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সম্পর্কে আইজির স্পষ্ট জবাব, আইন বিরোধী কোনও কাজের কথা জানা গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভারপ্রাপ্ত রেল পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে।