shono
Advertisement

নিউটাউনে এবার নতুন চিড়িয়াখানা, ইকোপার্কের পাশেই দেখা মিলবে সিংহ-কুমির-জলহস্তীর

১২.৫ একর জায়গাজুড়ে তৈরি হচ্ছে এই চিড়িয়াখানা।
Posted: 02:14 PM Jul 25, 2022Updated: 02:14 PM Jul 25, 2022

দীপালি সেন: ইকোপার্কের (Eco Park) পাশেই জলে ডুব দিচ্ছে কুমির। কখনও ডাঙায় শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে। সংখ্যায় খানদশেক তো বটেই। নিউটাউনের ইকোপার্কের ছয় নম্বর গেটের কাছেই পাখিদের কিচিরমিচিরে ভরপুর হরিণালয় ডিয়ার পার্কের নতুন বাসিন্দা এরা। তাদের দিন কাটছে প্রতিবেশী মুখব্যাদান জলহস্তী, লম্বু জিরাফ ও সাদা-কালোয় ডোরাকাটা জেব্রার অপেক্ষায়।

Advertisement

মাসচারেকের মধ্যেই জলহস্তী, লম্বু জিরাফ ও সাদা-কালোয় ডোরাকাটা জেব্রারা আলিপুর থেকে পাড়ি দেবে নিউটাউনে (Newtown)। মাঝে বছরখানেকের অপেক্ষা। তারপরই প্রতিবেশী হিসাবে বাঘ, সিংহ, ভল্লুককেও পাবে তারা। বাসিন্দারা সকলে চলে এলে সত্যিই শহরের দ্বিতীয় চিড়িয়াখানা হয়ে উঠবে হরিণালয়। নিউটাউনে প্রায় ১২.৫ একর জায়গাজুড়ে থাকা হরিণালয়কে পুরোদস্তুর চিড়িয়াখানা তৈরির রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘মাকে দেখবেন’, মন্তব্য করে ফের ট্রোলড পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা]

স্পটেড ডিয়ার (চিতল), বার্কিং ডিয়ার, আগে হরিণালয়ে শুধু এই দুই প্রজাতির হরিণ দেখেই ফিরে যেত আগতরা। এখন গেট দিয়ে ঢুকতেই কানে আসবে কালো রাজহাঁস (ব্ল্যাক সোয়ান), সারস, বার্নাকেল হাঁসেদের ডাক। পাখিদের আবাসস্থলে গোল্ডেন ম্যাকাও ও সাদা কাকাতুয়ার বসবাস। পক্ষীকুলকে দেখে সোজা গেলেই সাধারণ তথা মিষ্টি জলের কুমিরের আবাসস্থল। সেখানে রয়েছে পাঁচটি ‘মার্স ক্রোকোডাইল তথা মাগার’। ‘নোনা জলের কুমির’-এর আবাসস্থল আলাদা। সেখানে চারটি কুমির রয়েছে।

ফাইল ছবি।

বর্তমানে চলছে জেব্রা, জিরাফ ও জলহস্তীর আবাসস্থল তৈরির কাজ। হরিণালয়ের ডিরেক্টর রামপ্রসাদ বাদানা বলেন, ‘‘পাখিদের আবাসস্থলের বাকিটা সম্পূর্ণ হতে আরও এক মাস। তারপর আরও পাখি আসবে। জিরাফ, জেব্রা ও জলহস্তীর আবাসস্থল তৈরির হতে দুই থেকে চার মাসে সময় লাগবে। আমাদের লক্ষ্য, এবছর পুজোর আগেই নতুনভাবে সেজে ওঠা হরিণালয়ের উদ্বোধন করার।’’ হরিণালয়ে আসবে মণিপুরের ডান্সিং ডিয়ার, হগ ডিয়ার, কালো হরিণ। আসবে স্কারলেট ম্যাকাও, নীল ডানার ম্যাকাও, দীর্ঘ চঞ্চুর পাখি টৌকান-সহ আরও কত কী। এরপর রয়েছে মাংসাশী প্রাণীদের আনার পরিকল্পনা। রামপ্রসাদ বাদানা বলেন, ‘‘বাঘ, সিংহ, চিতা এবং শ্লথ বা হিমালয়ান ভল্লুক রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। মাংসাশী প্রাণীর আবাসস্থল প্রস্তুতির কাজ পরের বছর শুরু হয়ে যাবে সেন্ট্রাল জু অথরিটি অনুমোদন দিলেই।’’

[আরও পড়ুন: মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠতা’র প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয়কেও চাকরি? জোর গুঞ্জন অর্পিতার মাসির পাড়ায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement