বাবুল হক, মালদহ: মুক্তিপণ দাবি করার আগেই মালদহের (Malda) ছাত্রকে খুন করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে ধৃত গৌতম সিং। অশান্তির কেন্দ্রবিন্দু ছিল টাকা। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল, যার জন্য এই পরিণতি হল পড়ুয়ার, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে নিউডাউনের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মালদহের এক পড়ুয়ার স্যুটকেসবন্দি দেহ। দেহ উদ্ধারের পরই ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন এক চায়ের দোকানের মালিক। তার নাম গৌতম সিং। তার বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন মৃত সাজিদ হোসেন। গৌতমকে জেরা করেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবব, জেরায় গৌতম জানিয়েছেন যে প্রথমে মদ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয় সাজিদকে।
[আরও পড়ুন: রথীন ঘোষের বাড়িতে সাড়ে ১৯ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি ইডির, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে’, দাবি মন্ত্রীর]
এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁক মুখে লাগানো হয় সেলোটেপ। মুক্তিপণের টাকা আদায়ের আগেই মৃত্যু হয়েছিল সাজিদের। তা সত্ত্বেও যুবকের ছবি পাঠিয়ে টাকা দাবি করা হয় পরিবারের কাছে। ইতিমধ্যেই গৌতম সিং ও পাপ্পু ঘোষ নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা। এই খুনের সঙ্গে তাঁদের কী যোগ, ঠিক কী ঘটেছিল সাজিদের সঙ্গে, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।