গোবিন্দ রায়: ফেরিওয়ালার ছদ্মবেশে ঘাঁটি গেড়েছিল কলকাতায়! রাজধানীতে বসেই গোটা রাজ্যে, এমনকী গোটা দেশে জেহাদি সংগঠনের জাল বিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল নাজিউর রহমানদের। শুধু তাই নয়, উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গী সংগঠন জেএমবির সদস্য বাড়ানো, তহবিল বৃদ্ধি এবং মজবুত নেটওয়ার্ক গড়া। পরে দেশজুড়ে নাশকতা ঘটানোর ছক ছিল তাদের। গত জুলাই মাসে ধৃত ৫ জেএমবি (JMB) সদস্যের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে এমনটাই জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)।
শুক্রবার এনআইএর বিশেষ আদালতে পেশ করা ৬০ পাতার চার্জশিটে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির মাথা নাজিউর রহমান ছাড়াও রবিউল ইসলাম, মিকাইল খান, আবদুল মান্নান ও রাহুল কুমারের নাম রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশের দাগী আসামি। বেআইনিভাবে সীমানা পেরিয়ে এ দেশে এসেছে। তাদের জেল ভেঙে পালানোর কথাও রয়েছে চার্জশিটে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা রাষ্ট্রদ্রোহিতার চারটি ধারার পাশাপাশি, আইপিসির ছয়টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এবার উত্তরাখণ্ডে হবে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস, মিলল অনুমতি]
এনআইএ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে ইমান ওরফে কালোভাই। বাংলাদেশের জামালপুরের এই বাসিন্দা জেএমবির শীর্ষ নেতা প্রায় ছয় বছর ধরে এ রাজ্যের জেলে বন্দী। এখন রয়েছে দমদম সেন্ট্রাল জেলে। একসময়ে এ রাজ্যে জেএমবি প্রধান ফারুককে গত ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরায় জানা যায়, কীভাবে এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডালপালা ছড়িয়েছে জেএমবি। হরিদেবপুর থেকে ধৃত তিন বাংলাদেশি জঙ্গিকে জেরা পর্বে ওই জেএমবি সদস্যদের মুখ থেকে জানা গিয়েছে ফারুকের নাম। ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাদের। ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জেলে বসেই জেএমবি’র যাবতীয় নেটওয়ার্ক সামলাচ্ছে আনোয়ার হোসেন ফারুক !