গোবিন্দ রায়: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সিটের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মুখ্যসচিবের মাধ্যমে এই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার কথা বলেন তিনি।
শান্তনু শিট ও বাবলু পাল মামলায় বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিটের প্রধানকে আসতে বলেন। তিনি প্রশ্ন করেন, “আপনি বা আপনার টিম কেউ কি বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন?” সিংভি উত্তর দেন, “হ্যাঁ। কুন্তলের অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু ইস্যু তৈরি হয়েছে। অফিসারদের হয়রানি করা হচ্ছে।” বিচারপতি রাজ্যের সব দপ্তরকে নির্দেশ দেন কোনওভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিরক্ত করা যাবে না। তিনি বলেন, “কলকাতা পুলিশকে কোনভাবে এই তদন্তে নিয়োগ করিনি। তাই এই আদালতের অনুমতি ছাড়া সিবিআইয়ের সিটের অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়। যদি সেটা করা হয় তাহলে সেটা ব্যতিক্রমী হিসাবে ধরা হবে।”
[আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা রোখার পুরস্কার মাত্র ১৫০০ টাকা! রেলের ভূমিকায় জোর বিতর্ক]
সিংভি চার্জশিটে চারজন সাক্ষীর নাম দেন। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় ওই চার্জশিটকে বিকৃত করেন বলেই অভিযোগ। বিচারপতি বিস্ময়ের সুরে বলেন, “অবাক হচ্ছি। কেন এটা করা হল? সিবিআই জানিয়েছে এর পর কেউ মুখ খুলতে চায়নি। সাক্ষীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। সিবিআই বা ইডি ছাড়া কেউ গ্রেপ্তার করতে পারবে না। আদালত দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চায়। তাই এই ব্যবস্থা।” সিংভি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নম্বর বিকৃতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।
