গোবিন্দ রায়: অভিযোগ গুরুতর। জাতীয় সড়কের (NH) উপর বেআইনি নির্মাণের মতো অভিযোগ। তার থেকেও গুরুতর আদালতের নির্দেশের পরেও ভাঙা হয়নি সেই নির্মাণ। মামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিক সংগঠনের বেআইনি নির্মান ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)।
সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় আদালত এও স্পষ্ট করে দিয়েছে, রাজ্য পুলিশ যদি ব্যর্থ হয়, বা সহযোগিতা না করে তাহলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে প্রয়োজনে সিআরপিএফের (CRPF) সাহায্য নিতে হবে। একইসঙ্গে, কেন আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে (SP) আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ আগস্ট।
[আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরির নামে তোলাবাজি, ছেলের মৃত্যুর পর ঋণ শোধ করে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ বাবার]
প্রশাসনের চোখের সামনে ন্যাশানাল হাইওয়ের উপর কিভাবে ওই বেআইনি নির্মান গড়ে উঠলো, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। পিডব্লিউডি কে ওই বেআইনি নির্মান ভাঙার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু সময়ের পর সময় পেরিয়ে যাওয়ার সত্বেও আদালতের নির্দেশ কার্যকরী না হওয়ায় ফের আদালত অবমাননার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানা এলাকার দক্ষিন গোপালপুরের বাসিন্দা শেখ গোলাম মইউদ্দিন।
[আরও পড়ুন: মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম আল কায়দা প্রধান জওয়াহিরি, ঘোষণা বাইডেনের]
অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনে শাসক দলের ওই বেআইনি নির্মান গড়ে ওঠে। যার বিরোধিতা করে তিনি আদালতে মামলা করেন। দেখা যায় ২০১৬ থেকে ন্যাশানাল হাইওয়ের উপর ওই নির্মানে কিছু চায়ের দোকান সহ বেশ কিছু দোকান গড়ে উঠেছে। মামলায় গত ১ মার্চ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ওই নির্মান ভাঙার নির্দেশ দেন। এদিন আদালত অবমাননার মামলায় পিডব্লিউডি-এর (PWD) ইঞ্জিনিয়ার আদালতে জানান, পুলিশের সহায়তা পাওয়া যায়নি। তাই এখনও আদালতের নির্দেশ কার্যকরী হয়নি। তারপরেই বিরক্ত বিচারপতি জেলার পুলিশ সুপারকে (SP) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।