সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপ্যাকের (I-PAC) সঙ্গে তৃণমূলের কোনও মতভেদ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী দিনেও একসঙ্গে কাজ করবে তৃণমূল এবং ওই সংস্থাটি। যাবতীয় গুজব উড়িয়ে দিয়ে ঘোষণা করল এরাজ্যের শাসকদল।
আসলে, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের (Derek O’Brien) এক মন্তব্যের পর সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর কিছু খবর ছড়ায়। বুধবার ডেরেক বলেছিলেন, আইপ্যাক এবং তৃণমূল (TMC) এক নয়। আইপ্যাক আমাদের রাজনৈতিক সহযোগী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওরা আমাদের রাজনৈতিকভাবে সাহায্য করে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আইপ্যাকের কোনও কর্তার মতামতকে তৃণমূলের মতামত হিসাবে ধরা হবে। ডেরেকের এই মন্তব্যের পরই গুঞ্জন শুরু হয়, তাহলে কি আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও মতানৈক্য চলছে। প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক শেষ?
[আরও পড়ুন: ‘কথা কম, কাজ বেশি’, ৬ মাস পর নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের রিপোর্ট কার্ড নেবেন মমতা]
বৃহস্পতিবার সেই সব গুজবে ইতি টানল তৃণমূল। দলের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ঘোষণা করা হল,”আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদের এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই। এই খবর একেবারেই তথ্যনির্ভর নয়, পুরোপুরি গুজব।” তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে আমরা একসঙ্গে দল হিসাবে কাজ করছি এবং আগামী দিনেও পারস্পারিক সহযোগিতা বজায় থাকবে।
[আরও পড়ুন: ক্ষুদ্রান্ত্রের আলসার ধরা পড়বে মাত্র ১ মিনিটে, পূর্ব ভারতের প্রথম পাওয়ার স্পাইরাল এন্টেরোস্কোপি কলকাতায়]
বস্তুত, আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক পুরনো। সেই ২০১৯ সালে রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তৃণমূলে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অভাবনীয় সাফল্যের পিছনেও প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) তথা আইপ্যাকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে মনে করেন অনেকে। একুশের সাফল্যের পর রাজ্যের বাইরে তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করছে আইপ্যাক। বৃহস্পতিবার এরাজ্যের শাসকদলের বক্তব্যে স্পষ্ট, আগামী দিনেও আইপ্যাকের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে তৃণমূলের।