নব্যেন্দু হাজরা: পেট্রল-ডিজেল অগ্নিমূল্য। বাড়ছে বাসের ভাড়া। যার ফল ভুগতে হচ্ছে আমজনতাকে। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এল পরিবহণ দপ্তর। আর কিছুদিনের অপেক্ষা। কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে ছুটবে সিএনজি চালিত বাস। এতে ভাড়া বৃদ্ধির সমস্যা কমবে, আশাবাদী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
জানা গিয়েছে, সোমবার বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকে বসে পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা। নেতৃ্ত্বে ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকেই সিএনজি (CNG) চালিত বাস নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। স্বাক্ষরিত হয়েছে মউ। এবিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। অবিলম্বে কলকাতা পুরসভা ও সংলগ্ন এলাকার বাস ডিপোগুলিতে সিএনজি সাপ্লাইয়ের কাজ শুরু করা হবে। কিছুদিনের মধ্যে পাইপ লাইনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে আপাতত ক্যাপসুল বেসিসে গ্যাস দেবে। এক ঘণ্টায় যাতে ১৫ টি বাসে সিএনজি ভরা যায়, সেরকম যন্ত্র বসানো হবে।” সিএনজি চালিত বাস পথে নামলে দূষণ তো কমবেই পাশাপাশি টিকিটের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিও রোখা যাবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। কীভাবে পেট্রল-ডিজেল চালিত বাসকে সিএনজিতে পরিবর্তন করা যায়, ইঞ্জিনিয়ারদের তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে পা রেখেই বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল, কার্শিয়াংয়ে কালো পতাকা দেখাল তৃণমূল]
ওভারলোডিংয়ের সমস্যা মেটাতেও তৎপর ফিরহাদ হাকিম। তাঁর অভিযোগ, বহু জায়গায় পর্যাপ্ত চেকিং করা হচ্ছে না। কঠোর হাতে বিষয়টি মোকাবিলায় একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ওভারলোডিংয়ের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল হাইওয়েতে সমস্যা না হলেও রাজ্যসড়কের ক্ষতি হচ্ছে। এবার থেকে নিয়মিত চেকিং চলবে। প্রয়োজনে মাঝ রাস্তায় কমিয়ে দেওয়া হবে লোড। কতটা ওভারলোড ছিল, কতটা নামানো হয়েছিল, সমস্ত তথ্য যাবে জেলাশাসকের কাছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে।