গোবিন্দ রায়: সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। ভোটের লড়াই থেকে ছিটকে গেলেন ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। ১৫ দিন পর ফের এই মামলার শুনানি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্বের শেষদিনে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু ভাঙড়ে দুপুরের পর অশান্তি ছড়ায়। বোমাবাজি হয়। গুলি চলে। প্রাণ যায় তিনজনের। ফলে বহু প্রার্থী সময়ের মধ্যে মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি। আবার অনেকক্ষেত্রে ভয়ের পরিবেশের জেরে মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, বেশকিছু ক্ষেত্রে স্ক্রুটিনিতেও কোনও সমস্যা হয়নি। আচমকা স্ক্রুটিনির পর কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে বাদ যায় তাঁদের নাম। এরপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের বাম ও আইএসএফ প্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের প্রচারে জেলায় গিয়ে আচমকা অসুস্থ ব্রাত্য বসু, ছুটলেন মালদহ মেডিক্যালে]
সেই মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে কমিশনকে। অভিযোগ বৈধ হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়ার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে আদালতে এই আবেদন গ্রহণের বিরোধিতা করেছিল কমিশন ও রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না আইএসএফের ওই প্রার্থীরা। সিঙ্গল বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে।