নব্যেন্দু হাজরা: জরিমানা বৃদ্ধিতে মাঝে কিছুটা কমেছিল। কিন্তু ফের রাজ্যজুড়ে বেড়েছে ওভারলোডিংয়ের প্রবণতা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (WB Minister Firhad Hakim)। জানিয়ে দিলেন, ওভারলোডেড ট্রাক ধরা পরলে এবার তার পারমিট বাতিল করবে সরকার। প্রয়োজনে সিজ করা হতে পারে ট্রাকটি। সরকার গোটা আইনি বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। আর এই ঘটনায় কয়েকজন অফিসারও যে জড়িত তা সোমবার বুঝিয়ে দিলেন পরিবহণমন্ত্রী।
এদিন কসবায় দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফের ওভারলোডিং শুরু হয়েছে। বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বেশি হচ্ছে। আমি পরিবহণ সচিবকে ওইসব এলাকার অফিসারদের থেকে জবাবদিহি চাইতে বলেছি, কী কারণে এই ওভারলোডিং আবার শুরু হল! আর কোন কোন খাদান থেকে এই বাড়তি লোড নেওয়া হচ্ছে সেগুলোও আমরা নজরে রাখছি। শুধু পরিবহণ দপ্তর নয়, আমাদের পুলিশ এবং অন্যান্য দপ্তরকেও আমরা এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলব।”
[আরও পড়ুন: Abu Dhabi Drone Attack: আবু ধাবিতে ড্রোন হামলা ইয়েমেনের, মৃত দুই ভারতীয়-সহ ৩]
রাজ্যে ওভারলোডিং কমাতে এর আগে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছিল পরিবহণ দপ্তর। বাড়ানো হয়েছিল জরিমানার পরিমাণ। আর তাতেই কিছুটা হলেও কমেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওভারলোডিংয়ের প্রবণতা। কিন্তু কয়েকমাস ধরে ফের তা বেড়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এদিন তিনি নিজের হোয়াটস আপ নম্বর দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন, যাতে তারা ওভারলোডেড গাড়ি দেখলেই তার নম্বরে গাড়ির নাম্বার আর জায়গার নাম দিয়ে ছবি তুলে পাঠান।
মন্ত্রী আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে চাইছেন ওভারলোডিং বন্ধ হোক। রাজ্যের টাকা জলে চলে যাচ্ছে। ওভারলোডিংয়ের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তার দাঁত বেরিয়ে যাচ্ছে। ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে রাস্তা।” যে অফিসারদের মদতে এই কাজটা হচ্ছে তাঁদেরও যে ছাড়া হবে না তাও পরিষ্কার করে দেন মন্ত্রী। বলেন, “এই কাজটা যারা করছে এবং প্রশাসনের যারা তাতে মদত দিচ্ছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওভারলোডিং চলতে দেবে না।”