গোবিন্দ রায়: কিডন্যাপ হয়েছে ‘ঘনা’। প্রায় চার মাস কেটে গেলেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি! এই ঘটনায় এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ‘ঘনা’ আর কেউ নয়, একটি শূকর।
কল্যাণী আদালত (Kalyani Court) চত্বরে ঘুরে বেড়াত শূকর। সে তল্লাটে যাঁদের যাতায়াত, তাঁরা প্রায় সকলেই চিনতেন মোটাসোটা ঘনাকে। কিন্তু গত মার্চে অপহরণ করা হয় তাকে। এমন অভিযোগ তুলেই প্রথমে নিম্ন আদালত এবং পরে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তার মামলাকারী। আজ, শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি শম্পা সরকার পুলিশের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে প্রশ্ন করা হয়, আদৌ কি তত্পর পুলিশ? নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া শুয়োর ঘনার খোঁজে কল্যাণী থানার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। পুলিশের পদক্ষেপে খুশি নন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভাতারের স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ও ভূগোলের শিক্ষিকার ভিডিও ভাইরাল! উঠছে সাসপেন্ডের দাবি]
মামলার বয়ান অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৫ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ একটি সাদা গাড়ি ঢোকে কল্যাণী আদালত চত্বরে। সেই গাড়ি থেকে নামে চারজন। তারাই ঘনাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়ে সেই ছবি। এই ঘটনায় কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অনুমিতা ভদ্র। মামলাও হয় কল্যাণী এসিজেএম আদালতে। বিচারকের নির্দেশের পরও মেলেনি ঘনার হদিশ। পরে মামলা যায় কলকাতা হাই কোর্টে।
এদিন বিচারপতি জানতে চান, কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ অ্যানিমাল অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হয়নি? আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে যে গাড়িতে ঘনাকে অপহরণ করা হয়, সেই গাড়ির ভিডিও থাকলেও কেন অপহরণকারীদের চিহ্নিত করা হয়নি? এরপরই বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন, অবিলম্বে কল্যাণী থানার তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে জেলা পুলিশ সুপারকে। সেই সঙ্গে নদিয়ার পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। কল্যাণী আদালতের জন্য পুলিশকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে।