অর্ণব আইচ: সাতসকালে গল্ফগ্রিনের আবর্জনার স্তূপে মহিলার কাটা মুন্ডু উদ্ধার ঘিরে দিনভর চাপা উত্তেজনা এলাকায়। পুলিশ তদন্তে নেমে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই মৃতাকে শনাক্ত করে ফেলে। তদন্তে গতি আনতে তিন থানা - গল্ফগ্রিন, রিজেন্ট পার্ক ও নেতাজি নগরের পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত টানাপোড়েনের জেরে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে মহিলাকে। মৃতার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতেন। কলকাতার কাছাকাছি কোথাও তাঁকে হত্যার পর গল্ফগ্রিনের ভ্যাটে দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। খুনির খোঁজে জোরকদমে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকালে। প্রতিদিনের মতো এদিনও গল্ফগ্রিনের আবর্জনাস্তূপে কাজ করতে যান সাফাইকর্মীরা। সেই সময় তাঁরা প্লাস্টিকের মধ্যে বল আকারের কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখেন। তাতে রক্ত ছিল। তা দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। ভালো করে দেখে বুঝতে পারেন, প্লাস্টিকের ভিতরে রয়েছে একটি কাটা মুন্ডু। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় গল্ফগ্রিন থানায়। কিন্তু ওই এলাকা রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার আওতায়, তাই গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ আসেনি। খবর পেয়ে পরে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। কাটা মুন্ডু উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
এর পর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কাটা মুন্ডু একজন মহিলার। বাইরে কোথাও খুনের পর তাঁর দেহাংশ ফেলা হয়েছে গল্ফগ্রিনের ভ্যাটে। খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, প্রথমে মহিলার মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করা হয়। তারপর গলা কাটা হয়। কলকাতার কাছাকাছিই ঘটনাটা ঘটেছে বলে অনুমান করেন তদন্তকারীরা। এরপর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে তিনটি থানার পুলিশ মিলে সিট গঠন করে। শুরু হয় তদন্ত প্রক্রিয়া।
একটি নিখোঁজ ডায়েরির সূত্রে মৃতের পরিচয় জানা সম্ভব হয়। দিন কয়েক আগে এই মহিলার পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল থানায়। সেই সূত্র ধরে মৃতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঠিকানায় পৌঁছয় পুলিশ। জানা যায়, এক মিস্ত্রির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। শুক্রবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবার মনে করছে, এর নেপথ্যে রয়েছে ওই প্রেমিক। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। খুনিকে নাগালে পেতে মরিয়া SIT.