অর্ণব আইচ: কাকু-কাঁটায় ফের আটকে গেল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠন। সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে যাওয়ার পথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। ফলে নির্ধারিত সময়ে মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন গরহাজির হওয়ায় এদিন চার্জগঠন স্থগিত রাখা হল। যে বেসরকারি হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণকে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের থেকে মেডিক্যাল রিপোর্ট চাইলেন ইডি আদালতের বিচারক। ২ জানুয়ারির মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। তারপর ফের শুরু হতে পারে চার্জগঠনের প্রক্রিয়া।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনিয়ে বেশ কয়েকবার পিছিয়ে গেল চার্জগঠন। চার্জশিটে উল্লেখ করা প্রত্যেকে আদালতে হাজির থাকতে না পারলে তা গঠন করা হয় না সাধারণত। এই মামলায় বারবার 'কালীঘাটের কাকু'র অসুস্থতার কারণে গরহাজিরার জেরে বিচারক চার্জগঠনের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিয়েছিলেন। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তাই আজ অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর সেই দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু আজও ইডির মামলায় হল না চার্জগঠন।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। জেল থেকে বেরিয়ে ইডির বিশেষ আদালতে যাওয়ার পথে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে নামী এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। এই গোটা পরিস্থিতির কথা ইডি আদালতে তুলে ধরেন সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী। তাতে বিচারক চার্জগঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেন। জানান, আগামী ২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি। তবে বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় আইনজীবীকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন অসুস্থ বোধ করা সত্ত্বেও কেন তখন চিকিৎসা হল না? এরপর তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার যাবতীয় রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।