ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে বিজেপিরই চার বিধায়কের আনা স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস গ্রহণ করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভাতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আনা নোটিস গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন স্পিকার। তিনি আরও জানিয়েছে, এবার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটি।
বুধবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীনই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন দুই বিধায়ক। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani) অভিযোগ করেন, ওয়াকআউটের সময় শুভেন্দু তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিরোধিতা করার জন্য কালই তাঁর বাড়িতে আয়কর হানা হবে। কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ের অভিযোগ ছিল আরও মারাত্মক। তাঁর কথায়, “আমাকে গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।” ঘটনাচক্রে, এই দুই ব্যাক্তি তৃণমূলে নাম লেখালেও খাতায়কলমে এখনও বিজেপির (BJP) বিধায়ক। যা বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়েছে শুভেন্দুর।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই বিকল্প জোটের ইঙ্গিত তৃণমূলের, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা]
দুই বিধায়কের এই অভিযোগ নিয়ে তখনই উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্পিকার। স্পিকার বলেন, “অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর, সদস্যদের নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যবস্থা নিচ্ছি।” কড়া প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রীও। মমতা বলেন, তাহলেই বুঝুন কে আয়কর দপ্তর চালায়, কেই বা চালায় সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রীই ইঙ্গিত দেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনা উচিত। পরে চার বিধায়ক বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন। বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় ওই নোটিসে সই করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘৩ বছর আগে আমার কাছেও পেগাসাস বিক্রি করতে এসেছিল’, বিধানসভায় বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী]
রাতেই চার বিধায়কের নিরাপত্তা জোরদার করেছে রাজ্য সরকার। স্পিকার তাঁদের পাঠানো নোটিস গ্রহণও করেছেন। আজ বিধানসভায় সেটা জানিয়েও দেন স্পিকার। বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ওঠা সবক’টি অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “২৬ তারিখের মধ্যে প্রিভিলেজ কমিটির রিপোর্ট পেশ করতে অনুরোধ করব সদস্যদের কাছে। সেই অনুযায়ী বব্যস্থা হবে। আমরা তো ছিলাম। দেখেছি যে ভাষায় বিরোধী নেতা সদস্যদের হুমকি দিলেন, ভয় দেখালেন, তাতে মনে হয় সিবিআই-ইডির মতো সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকার আর তার প্রতিনিধি বিধানসভায় বসে তারাই পরিচালনা করেন।