shono
Advertisement

SSC কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে আইনি জয়, চাকরিতে যোগদানের সুপারিশপত্র পেলেন প্রিয়াঙ্কা সাউ

আগামী মাসেই তিনি বাড়ির কাছের একটি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেবেন।
Posted: 09:41 PM Oct 22, 2022Updated: 09:56 PM Oct 22, 2022

দীপালি সেন: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির (SSC Scam) মাঝে বড় জয়। আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে চাকরির সুপারিশপত্র (Recommendation letter) হাতে পেলেন এসএসসি নিয়োগে ‘বঞ্চিত’ প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা সাউ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আচার্য সদনে কাউন্সেলিংয়ে সুপারিশপত্র তুলে দেওয়া হয়। এরপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে নিয়োগপত্র পেলে আগামী মাসে তিনি বাড়ির কাছের স্কুলে শিক্ষিকা (School Teacher) হিসেবে যোগ দেবেন। স্বভাবতই খুশি প্রিয়াঙ্কা সাউ। বলছেন, ”অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছি, অভূতপূর্ব আনন্দের।”

Advertisement

অঙ্কিতা অধিকারী বনাম ববিতা সরকার। এসএসসিতে যোগ্য প্রার্থীর চাকরি পাওয়া নিয়ে ববিতা সরকারের আইনি লড়াই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC)  রায়ে মন্ত্রীকন্যার চাকরি বাতিল হয়ে মেখলিগঞ্জের ওই স্কুলে ওই পদেই চাকরি পেয়েছেন ববিতা। শুধু তাই নয়, যেদিন থেকে তাঁর চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, শুধুমাত্র বঞ্চনার কারণে তা হয়নি, সেই দিন থেকেই ববিতার বকেয়া বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। ইতিমধ্যে অবশ্য সেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন তিনি। ববিতার সেই মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়া আরও কয়েকজনের মধ্যে ছিলেন ঢাকুরিয়ার প্রিয়াঙ্কা সাউ। মেধাতালিকায় বেশি নম্বর পেয়েও তিনি চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাননি। তবে আইনি লড়াই থেকে সরে আসেননি।

[আরও পডুন: প্রাণে তো আর মারেনি! ৪ বছরের শিশুকন্যার ধর্ষকের সাজা কমাল হাই কোর্ট]

এতদিনে সেই লড়াইয়ের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল প্রিয়াঙ্কার। গত ২০ তারিখ কমিশনের তরফে কাউন্সেলিংয়ে ডেকে নিকটবর্তী চারটি স্কুলের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছিল। সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কা বেছে নিয়েছেন বাঘাযতীন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এরপর তাঁকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে নিয়োগপত্র (Appoinment Letter) সংগ্রহ করতে হবে। যেদিন নিয়োগপত্র হাতে পাবেন, সেদিনই যোগ দেবেন স্কুলে।

[আরও পডুন: গণধর্ষণ ও যৌনাঙ্গে রড ঢোকানোর ভুয়ো অভিযোগ, মহিলার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থার আরজি মহিলা কমিশনের]

‘সংবাদ প্রতিদিন’কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা সাউ বলেন, ‘‘জয় সবসময়ই আনন্দের। সেটা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয় হয়, তা অভূতপূর্ব আনন্দ এনে দেয়। অবশ্যই ভাল লাগছে। সবথেকে বড় কথা এই বেকারত্বের জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এক পা হলেও এগোতে পারছি। বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে পারব, তাঁদের ভবিষ্যতে আর্থিক সাপোর্ট দিতে পারব, এটা ভেবে খুবই ভাল লাগছে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement