সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (BJP)। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ফলে আহত হন দু’পক্ষই। নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijaan) পরের দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রবিশংকর প্রসাদ। তার পালটা দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, অভিযান ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এই ধরনের মিথ্যা রটনা করছে বিজেপি।
নবান্ন অভিযান সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য সাংবাদিক বৈঠক ডাকে বিজেপি। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravishankar Prasad) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। অন্য সব রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর নিজের রাজ্যেই গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাঁকে মনে রাখতে হবে, বিজেপিকে আটকাতে যত চেষ্টা করবেন, বিজেপি তত এগিয়ে যাবে।” বিজেপির নবান্ন অভিযানে বঙ্গ পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে টুইট করেছেন বঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।
[আরও পড়ুন: বিজেপির নবান্ন অভিযানে হিংসার নেপথ্যে সিপিএম! ‘ওরা শুধু জার্সি বদলেছে’, দাবি অভিষেকের]
রবিশংকর প্রসাদের পালটা দিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেছেন, “রবিশংকর প্রসাদকে তো মন্ত্রীসভা থেকে বের করে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। অমিত শাহ এবং মোদির গুডবুকে যেতে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। বিজেপির নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই হিংসা ছড়িয়েছে। যারা ইট ছুঁড়ছিল, পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। রবিশংকর প্রসাদ কিছু সাজানো কথা বলছেন।”
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের জন্য কলকাতার তিন প্রান্ত থেকে তিনজন বিজেপি নেতার পরিচালনায় মিছিল শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের দিকে তেড়ে গিয়ে আক্রমণ করেন বিজেপি কর্মীরা। গুরুতর ভাবে আহত হন মধ্য কলকাতার অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মহাত্মা গান্ধী রোড এবং রবীন্দ্র সরণির সংযোগস্থলে একটি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিজেপি কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অশান্তি করার উদ্দেশ্যে আগে থেকেই ইট পাথর নিয়ে এসেছিল বিজেপি কর্মীরা। গোটা ঘটনার বিশদ তদন্ত চলছে।
দেখুন ভিডিও।