গৌতম ব্রহ্ম: প্রতিবার উৎসবের মরশুম মানেই 'বেয়ারা... চালাও ফোয়ারা' আবহ। আনন্দে গা ভাসাতে সুরার ফোয়ারা ছোটান কমবেশি সকলে। আর তাঁদের হাত ধরে রাজ্যের আবগারি দপ্তরে বিপুল অর্থাগম হয়। তবে এবার ক্রিসমাস ও বর্ষবরণের সময়ে রেকর্ড অঙ্কের মদ বিক্রি হয়েছে বলে খবর আবগারি দপ্তর সূত্রে। বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালের দুর্গাপুজোর তুলনায় বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে আট গুণ বেশি বিভিন্ন রকমের মদ কিনেছেন সুরাপ্রেমীরা। হিসেব বলছে, প্রায় হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে এবার। যা দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত আবগারি কর্তারা।
দপ্তরের পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে বছরে গড়ে প্রায় দু'হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়। তবে ২০২৪ সালকে বিদায় জানিয়ে ২০২৫ কে স্বাগত জানানোর এটুকু সীমিত সময়েই রাজ্যে মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার! যা কিনা রেকর্ড। বলা হচ্ছে, এবছরের দুর্গাপুজোর থেকেও বেশি মদ বিক্রি হয়েছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ও জানুয়ারির প্রথম দুদিনে। দুর্গাপুজোর চারদিনে মোট ১২০ কোটি টাকা এসেছে আবগারি দপ্তরের কোষাগারে।
আবগারি দপ্তরের তরফে জানা যাচ্ছে, এবারে হাজার কোটি টাকার যে মদ বিক্রি হয়েছে, সেই তালিকায় বেশিরভাগই বিদেশি মদ। যার দাম অনেকটাই বেশি। সম্প্রতি বাজেটে মদের দাম বাড়ানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও সুরাপ্রেমীরা গাঁটের কড়ি খরচ করতে যে এতটুকুও কার্পণ্য করেননি, এই তা পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ। এ থেকে স্পষ্ট, উৎসবের সময় প্রিয় পানীয়টুকুর স্বাদ ভরপুর গ্রহণ করতে কোনও কসুর করেননি কেউ। তবে তাতে আখেরে লাভ রাজ্য সরকারেরই। এমনিতেই আবগারি দপ্তরের দৌলতে ভাঁড়ারে মোটা অঙ্কের অর্থাগম হয়ে থাকে। বছরশেষে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রইল। তাতে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে বিভাগীয় কর্তাদের।