অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজের জন্য বুধবার রাত ১০টা থেকেই বন্ধ থাকবে রেড রোড। বৃহস্পতিবারও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বন্ধ থাকবে যান চলাচল। বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মৌলালি মোড় থেকে এজেসি বোস রোড দিয়ে দক্ষিণমুখী গাড়ি যাতায়াত বন্ধ থাকবে। সেন্ট জর্জেস গেট রোড, স্ট্র্যান্ড রোড থেকে রাজা উডমাউন্ট স্ট্রিট-সহ গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে দক্ষিণগামী মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। জওহরলাল নেহরু রোড ধরে উত্তর এবং দক্ষিণের পথেও মালবাহী গাড়ি যাতায়াত বন্ধ।
করোনা আতঙ্ক দূর হতে এবছর ফের সাধারণতন্ত্র দিবসে রেড রোডের কুচকাওয়াজে দর্শক থাকবে। এই দিনে নাশকতার সম্ভাবনা থাকে। তাই হাই অ্যালার্টে থাকে লালবাজার। তার উপর এবছর সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনই সরস্বতী পুজো পড়েছে। ওইদিন রাস্তায় ভিড় থাকবে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মঙ্গলবার থেকে হোটেল, শপিং মল, পার্ক, দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি পয়েন্টে নাকা চেকিং চলছে। রেড রোডের নিরাপত্তাতেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন থাকছে ৩ হাজার পুলিশ। ২০ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক থাকছেন। থাকছেন ৪৫ জন এসি, ১৪৮ জন ইন্সপেক্টর, ৩১২ জন সাব ইন্সপেক্টর ও ৩৪০ জন এএসআই। এছাড়া থাকবেন অতিরিক্ত সিপি। রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের আয়োজনে দায়িত্বে থাকছেন বিশেষ কমিশনার দময়ন্তী সেন।
[আরও পড়ুন: শ্যামপুরে নিহতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি বিজেপির, রাজনীতি চাইছেন না মৃতের স্ত্রী]
লালবাজার জানিয়েছে, নিরাপত্তার জন্য রেড রোড ও সংলগ্ন রাস্তাকে ১৮টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এই ১৮টি জোনে সেক্টর করা হয়েছে ১২৫টি। বালির বস্তা দিয়ে তৈরি বাঙ্কার থাকছে ১০টি। তিনটি কুইক রেসপন্স টিম থাকছে। ১০টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানো হবে। এছাড়া থাকছে ড্রোনের ব্যবস্থা। ১১টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড এবং পিসিআর ভ্যান থাকছে ৫৮টি। দর্শকদের সহায়তার জন্য ১১টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকছে রেড রোডে। রাখা হচ্ছে ১৪টি অ্যাম্বুল্যান্স। বিশেষ বাইক টিম টহল দেবে। শহরের প্রবেশ ও বেরনোর পয়েন্টগুলিতে কড়া নাকা চেকিং চলছে। এছাড়া কলকাতাজুড়ে ১৩টি কুইক রেসপন্স টিম থাকছে। ওইদিন সরস্বতী পুজো থাকায় স্কুল, কলেজগুলিকেও নাশকতার জন্য টার্গেট করতে পারে জঙ্গিরা। তাই সরস্বতী পুজোর দিন স্কুল, কলেজগুলিতে পুলিশের কড়া নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, যে সব জায়গায় সরস্বতী পুজোয় আয়োজন করা হয় সেখানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের নজরদারি চলবে।