সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সাগরদিঘির উপনির্বাচনে হারের ক্ষত ভুলে সবাইকে একসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনে আলোচনা সেরেছেন তিনি। ফোনের লাউডস্পিকার অন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সকলকে শোনানো হয়। নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেন জেলার সাংসদ, বিধায়ক-সহ ৬ নেতা। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর সাফ বার্তা, সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে। সাগরদিঘিতে (Sagardighi) টাকার খেলা চলেছে। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বকে মাঠে নেমে সরকারি প্রকল্পগুলির বিশেষত সংখ্যালঘুদের জন্য যে যে কাজ হয়েছে, তা সবিস্তারে জানানো, বোঝানোর কাজ করতে হবে। শুনতে হবে অভাব-অভিযোগের কথা। ১৯ মিনিট ধরে নিজের বক্তব্য রাখেন মমতা। জেলা নেতৃত্বের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর মুর্শিদাবাদ সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন নেত্রী।
তৃণমূল শিবিরকে কার্যত ধাক্কা দিয়ে সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে (Sagardighi by election) জিতেছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। হারের অন্তর্তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক কারণ উঠে এসেছে ঘাসফুল শিবিরে। শুক্রবার কালীঘাটের মেগা বৈঠকে এ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার সাংসদ আবু তাহের, খলিলুর রহমানদের এনিয়ে ভর্ৎসনাও করেন বলে খবর। কিন্তু রবিবার ফোন-বৈঠকের শুরুতেই নেত্রী স্পষ্ট জানান, সেদিনের বৈঠক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক খবর রটছে। তবে আবু তাহের, খলিলুর রহমান-সহ গোটা জেলা নেতৃত্বের উপর তাঁর যথেষ্ট আশা, ভরসা রয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে ধরাশায়ী ভারতীয় ব্যাটিং, অজি পেসারদের সামনে আত্মসমর্পণ রোহিত-গিলদের]
জেলার নেতাদের নেত্রী বলেন, ”দল যে কর্মসূচী দিয়েছে সেই কাজ করতেই হবে৷ জেলায় মানুষ কোন কোন বিষয়ে অভাব-অভিযোগ জানাচ্ছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের কাছে রিপোর্ট আসছে। তাহলে জেলার জনপ্রতিনিধিরা কী করছেন? মানছি, সাগরদিঘিতে আমরা হেরেছি। তবে সেখানে অনৈতিক জোট হয়েছিল, টাকার খেলা চলেছে। সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে ভোটের ফলে সবকিছু স্থির হয় না। প্রতি পঞ্চায়েত ও ব্লকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: আসানসোল কম্বল কাণ্ড: আদালতে নিজেই সওয়াল জিতেন্দ্রর, ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের]
ফোনে সাংসদ খলিলুর রহমান, আবু তাহেররা তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, সেখানে অধীর চৌধুরী সবাইকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুল বোঝাচ্ছেন। এই অভিযোগের জবাব মমতা বলেন, ”অধীর আরএসএসের কথায় কাজ করছেন। তিনিই বিজেপির এক নম্বর লোক। বুঝতে পারছেন তো? আর বিজেপি তো রাহুল গান্ধীকে মূল বিরোধী হিসেবে তুলে ধরতে পারলে তাদেরই লাভ। অন্য বিরোধীদের দুর্বল করে দেওয়া যাবে।” জেলা নেতৃত্বের আমন্ত্রণে আগামী মাসে মুর্শিদাবাদে রাজনৈতিক সভা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।