দীপালি সেন: মোদিকে (PM Narendra Modi) নিয়ে বিবিসির তৈরি বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও। উদ্যোগী এসএফআই। এই মর্মে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও জানিয়েছে। কিন্তু তা এখনও মঞ্জুর হয়নি। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি, ইতিপূর্বে ‘রাম নাম’ সিনেমাটি দেখানোর সময় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মেলেনি। এক্ষেত্রেও তা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা। একইসঙ্গে এসএফআইয়ের চ্যালেঞ্জ, কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা না মিললেও মোদির তথ্যচিত্র দেখানো হবেই।
২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাসে মোদিকে নিয়ে বিবিসির (BBC) তৈরি বিতর্কিত তথ্যচিত্র দেখাতে চায় এসএফআই। ব্যাডমিন্টন বা বাস্কেটবল কোর্টে ডকু-সিরিজটি দেখানো হতে পারে। প্রেসিডেন্সির নিয়ম বলছে, বিশ্ববিদ্য়ালয় ক্য়াম্পাসে কোনও সিনেমা দেখাতে হলে একটি অনুমতি নিতে হয়। সেখানে স্থান ও সময় জানাতে হয়, তবে সিনেমার নাম উল্লেখ না করলেও চলে। ইমেল করে ইতিমধ্যে সেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু জবাব মেলেনি। শুধু এসএফআই নয়, আইসি ও সংঘর্ষ ছাত্র সংগঠনও এই তথ্যচিত্র দেখাতে চায়। তারা ১ ফেব্রুয়ারি দেখাতে চাইছে।
[আরও পড়ুন: ‘মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করুন’, এজলাসে বসেই জেলা জজকে ফোন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের সভানেত্রী আনন্দরূপা ধর জানান, “রামনাম দেখানোর সময়ও কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেনি। এবারও যদি তেমন হয় আমরা থামব না। তথ্যচিত্রটি দেখানো হবেই।” যদিও এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সির ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণকুমার মাইতি জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অডিটোরিয়াম বুক করা হয়নি।”
এর আগে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়েও (JNU University) এই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ক্যাম্পাসের অন্দরেই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়। সেখানেই জমায়েত হওয়া পড়ুয়াদের উপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। এমনকী ক্যাম্পাসের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করিয়ে পড়ুয়াদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। লোডশেডিং হয়ে যাওয়ার পরে ফোনেই ছবি দেখা শুরু করেন পড়ুয়ারা। এই একই ইস্যুতে উত্তাল হয় জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও এবার তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করার উদ্যোগ নিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনটি।