অর্ণব আইচ: কলকাতার (Kolkata) রাস্তায় ফের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। সাতসকালে শ্যামপুকুরের একটি স্কুলের অদূরে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর মাথার পিছন থেকে রক্তক্ষরণ (Bleeding) হচ্ছিল। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মদের বোতল। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে শ্য়ামপুকুর থানার পুলিশ। তবে এই মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট রহস্য ঘনিয়েছে। খুন নাকি নেশার ঘোরে কোনও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর, তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের এক নামী স্কুলের সামনে মঙ্গলবার সকালে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্তে নামে। যুবকের মৃতদেহের পাশে একটি ব্যাগে মদের বোতল ছিল। এছাড়া ব্যাগ ঘেঁটে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, যুবক ক্যাটারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের একাংশের মত, মদের নেশায় পড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হতে পারে। আবার আরেকাংশ খুনের (Killing) তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাঁদের অনুমান, কেউ বা কারা ওই যুবককে মাথার পিছন থেকে আঘাত করায় মৃত্যু (Death) হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই স্পষ্ট হবে কারণ।
[আরও পডু়ন: সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় থেকে প্রেম, সংসার বাঁধতে ঘর ছাড়েন সমকামী দুই তরুণী! তার পর…]
মৃতের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে খবর পুলিশ সূত্রে। তিনি কি স্থানীয় বাসিন্দা নাকি কোনও কাজের জন্য বাইরে থেকে এই এলাকায় এসেছিলেন, সেই উত্তরও অধরা এখনও। এনিয়ে গত কয়েকদিনে পর পর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও পিটিয়ে বা কুপিয়ে খুন করার অভিযোগও মিলেছে। চিৎপুর, চিংড়িহাটা, লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় খুনের এবার শ্যামপুকুরের মতো এলাকা থেকে উদ্ধার হল রক্তাক্ত দেহ।