সুদীপ রায়চৌধুরী: এসআইআরের কাজে চাপ আছে, মেনে নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে তার মাঝেই বিএলও-দের কাজের প্রশংসা করলেন রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। সোমবার কমিশনের দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানালেন, বহু জায়গায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। এর নেপথ্যে বিএলও-দের কৃতিত্ব সর্বাধিক। এদিনই বিএলও-দের একাংশ কমিশনের দপ্তরে বিক্ষোভে শামিল হয়। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে তাঁদের সুরক্ষায় কয়েকদফা নির্দেশিকা দিলেন কমিশনের কর্তারা। কোনও বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার ভার নেবেন জেলাশাসক। তাঁর বদলে অন্য কোনও বিএলও-কে নিয়োগের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে ERO-কে।
সোমবার বিএলও অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের তরফে CEO দপ্তর অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো বিএলও-দের একাংশ মিছিল করে সেখানে পৌঁছয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ঘরের বাইরে তাঁদের আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁরা দরজার সামনে বসে স্লোগান তুলতে থাকেন। এরপর ১৩ জন প্রতিনিধিকে ডেকে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানানো হয়। তবে তাঁদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে এনিয়ে। বিএলও-দের সমস্যার কথা শোনা হচ্ছে না বলে অভিযোগে সরব হন তাঁরা।
CEO দপ্তরে বিএলও-দের অবস্থান বিক্ষোভ। ছবি: রমেন দাস।
এরপর সন্ধ্যা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল ও কমিশনের কর্তারা। এসআইআরের কাজ চাপের, তা মেনে নিয়েই বিএলও-দের কাজের প্রশংসা করেন তাঁরা। সেইসঙ্গে বিএলও-দের নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপের কথা জানান মনোজ আগরওয়াল। জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে। তা দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে পাঠানো হবে। কোনও বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার ভার জেলাশাসকের উপর দেওয়া হয়েছে। অযথা কাজের চাপ না দিয়ে বিকল্প বিএলও নির্বাচন করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে ইআরও-কে।
এদিনই এসআইআরের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কমিশন যদি চুক্তির ভিত্তিতে ডাটা এন্ট্রির জন্য কর্মী নিতে পারে, তাহলে ডিআরও কেন পারবে না? এই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে মনোজ আগরওয়ালের প্রতিক্রিয়া, জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশমতো সেই কাজ করা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলার এক্তিয়ার নেই।
