সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিএলএ-২ দের এসআইআর সংক্রান্ত শুনানি (SIR Hearing in Bengal) কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। জেলাশাসকদের স্পষ্ট বার্তা নির্বাচন কমিশনের। শুনানি পর্বে বিএলএ-২ রা যাতে থাকেন, সেই দাবি জানিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে আজ সোমবার সকাল থেকে হুগলিতে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে শুনানিপর্ব। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন, বিএলএ ২ দের শুনানিতে রাখতে হবে, না হলে বন্ধ থাকবে এই প্রক্রিয়া। মানবিক কারণে যদিও পরে সেই বিক্ষোভ তুলে নেন। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, এসআইআরের শুনানি পর্বে কোনও বুথস্তরের এজেন্ট অর্থাৎ বিএলএ ২ দের ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়। শুধু তাই নয়, কোনওভাবেই শুনানি প্রক্রিয়া আটকে রাখা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
রবিবার ১ লক্ষ ২০ হাজার বিএলএ ২-র সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা জানান। পাশাপাশি শুনানিকেন্দ্রে বিএলএ ২ দের উপস্থিতি নিয়েও অভিষেক বার্তা দিয়েছিলেন বলে খবর। এরপরেই আজ সোমবার সকাল থেকে ময়দানে নামেন হুগলির তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। চুঁচুড়া-মগড়া ব্লক অফিসে গিয়ে এসআইআরে (SIR in Bengal) শুনানি সংক্রান্ত কাজ বন্ধ করে দেন। কেন বিএলএ ২ দের শুনানিপর্বে থাকতে দেওয়া হবে না, সেই দাবি জানিয়ে শুনানি সংক্রান্ত বন্ধ রাখেন।
শুধু হুগলিই নয়, বিএলএ ২দের শুনানি পর্বে ঢুকতে দিতে হবে, এই মর্মে এদিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যদিও এই ঘটনার পরেই নির্বাচন কমিশনের তরফে সমস্ত জেলাশাসকের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়, কোনওভাবেই শুনানি পর্বে বিএলএ -২ দের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এমনকী এজন্য শুনানিপর্ব যাতে না আটকায় তাও নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। পাশাপাশি এমন ক্ষেত্রে প্রয়োজনে জেলশাসককে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
যদিও এদিন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে ফের এই ইস্যুতে সরব হয় তৃণমূল। আজ সোমবার কলকাতায় মুখ্য নির্বাচন দপ্তর অর্থাৎ সিইও'র দ্বারস্থ হন তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কেন হিয়ারিংয়ে বিএলএরা থাকবেন না, তা নিয়ে সরব হন তাঁরা।
