অর্ণব আইচ: কলকাতার একাধিক গৃহবধূকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মধ্য কলকাতার গিরিশ পার্ক ও পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটায় এই অভিযোগ উঠছে। এছাড়াও গার্ডেনরিচের এক গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পরপর এই ধরনের অভিযোগ দায়ের হওয়ায় পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনাকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে হুগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে গিরিশ পার্কের বাসিন্দা এক যুবকের বিয়ে হয়। তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে শুরু করেন। তাঁকে সন্দেহ করতেন স্বামী। তার ফলে অত্যাচার আরও বাড়ে। এর মধ্যেই উপদ্রব শুরু করে তরুণীর কাকাশ্বশুর। তরুণী গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁকে ডেকে ওই ব্যক্তি নিজের মোবাইলে কিছু অশ্লীল ছবি দেখিয়ে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করে ওই অভিযুক্ত। বিভিন্নভাবে যৌন হেনস্তাও করা হয়। এভাবে অত্যাচার বাড়তে শুরু করলে তিনি শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন। আর সম্প্রতি গিরিশ পার্ক থানায় ওই কাকাশ্বশুর ও শ্বশুরবাড়ির অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে উদ্যোগী মেট্রো কর্তৃপক্ষ, সোমবার থেকে খুলছে বিভিন্ন স্টেশনের একাধিক গেট ]
অন্য ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটা থানা এলাকায়। বেলেঘাটার হরমোহন ঘোষ লেনের এক গৃহবধূর অভিযোগ আবার তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধেই। ওই মহিলার দাবি, শনিবার বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে শ্বশুর তাঁর কাছে আসে। কথা বলার অজুহাতে পুত্রবধূর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চায়। পুত্রবধূকে তাঁর ঘরে যেতে বলেন। সেখানে গেলে ওই মহিলাকে যৌন হেনস্তা ( Sexual Assault) করতে শুরু করে ওই ব্যক্তি। এতে গৃহবধূটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বহুকষ্টে শ্বশুরকে বাধা দেন।
নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, ওইদিন শ্বশুর রীতিমতো তাঁর উপর চড়াও হন। বাধা পেয়ে গৃহবধূর জামাকাপড় ধরে টানতে থাকে। এর ফলে তাঁর কাপড় ছিঁড়ে যায়। এরপরই তিনি বেলেঘাটা থানায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা ও অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্যদিকে, গার্ডেনরিচের বাসিন্দা এক গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে কলকাতা ও দিল্লিতে অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়। একই সঙ্গে তাঁকে খুনের চেষ্টাও করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো ঘটনাটির তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।