অর্ণব আইচ: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিড়ম্বনা বাড়ালেন জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। রাজসাক্ষী হিসেবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে গোপন জবানবন্দি দিলেন তিনি। কল্যাণময়ের বয়ান পার্থর বিপদ বাড়াতে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

কিছুদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য (Kalyanmay Bhattacharya) ইডির প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে তা মঞ্জুর হয় ব্যাঙ্কশালে ইডির বিশেষ আদালতে। জানা যায়, নিজের অপরাধ মার্জনা করার আবেদনও জানান কল্যাণময়। এরপরই ইডির বিশেষ আদালতে বিচারক জানান, কল্যাণময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। কল্যাণময়ের আবেদন অনুযায়ী আদালত নির্দেশ দেয়, তিনি নগর ও দায়রা আদালতে ২০ নম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবেন। নির্দেশ মোতাবেক মঙ্গলবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন কল্যাণময়। ২৬ মার্চ ও ৩১ মার্চ পার্থর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান করতে পারেন আরও দু’জন।
ইডির দাবি, দুর্নীতির ক্ষেত্রে নিজের স্ত্রী, মেয়ে, জামাইকেও ঢাল করে ছিলেন পার্থ। পিংলার একটি বেসরকারি স্কুলের সূত্র ধরে ইডির সন্দেহের তালিকায় উঠে আসেন পার্থর মেয়ে-জামাই। তাঁদের নামে একাধিক সংস্থার হদিশ মেলে। মার্কিন মুলুকে বসেই পার্থর জামাই কল্যাণময় সংস্থা ও ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন। পার্থর স্ত্রীর নামে তৈরি ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় প্রচুর জমিও কেনা হয়, এমনই দাবি ইডির। তাঁকে একাধিকবার তলব করে ইডি জেরা করে। সূত্রের খবর, জেরার মুখে কল্যাণময় ইডি আধিকারিকদের জানান যে, শ্বশুরমশাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নির্দেশ মেনেই অনেকটা বাধ্য হয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এই মামলায় বিচারপর্ব শুরু হওয়ার পর কল্যাণময়ের বিদেশে ফেরার ক্ষেত্রেও জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কলকাতা ছাড়তে পারবেন না কল্যাণময়। তবে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পর কল্যাণময় বিদেশে ফেরার আবেদন জানাতে পারেন বলে জানিয়েছে ইডি।