shono
Advertisement

Breaking News

Manas Bhunia

খাল-বিল সংস্কার করেও আয় রাজ্য সরকারের! পাইলট প্রজেক্টে কয়েকশো কোটি টাকার সাফল্য

সেচদপ্তরেরর কর্তারা জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
Published By: Subhankar PatraPosted: 08:57 AM Mar 27, 2025Updated: 08:57 AM Mar 27, 2025

মলয় কুণ্ডু, বিধাননগর: এবার থেকে খাল-বিল, নদী-নালা সংস্কারের জন্য কোষাগার থেকে আর খরচ করবে না রাজ‌্য সরকার। তার পরিবর্তে যে সংস্থা সংস্কার করবে, তাকেই পলি-মাটির দাম বাবদ টাকা দিতে হবে রাজ‌্য সরকারকে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দপ্তর। বুধবার জলসম্পদ ভবনে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরে ২৮টি খালের ১৮০ কিলোমিটার অংশ সংস্কার করিয়ে রাজ্য ১১২ কোটি টাকা উপার্জন করেছে। তিনি বলেন, "এতদিন খালের পলি কাটার জন্য সরকার প্রতিবছর কম-বেশি ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করত। তা আর করা হবে না। বরং যারা পলি তুলবে, তারাই তা ব‌্যবহার করবে। এর বাবদ টাকা দিতে হবে রাজ‌্যকে।"

Advertisement

এদিন সেচদপ্তরেরর কর্তারা জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও। বৈঠকে তিনি রাজ্যের জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন, তাঁদের এলাকার খাল-বিল, নদী-নালা সংস্কার করার জন্য এবার থেকে নিজেরাই টেন্ডার ডাকবেন। সেই টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী যে সংস্থা সব থেকে বেশি টাকা দিতে পারবে তাকেই দেওয়া হবে জলপথ সংস্কারের কাজ।

এই নয়া পদক্ষেপ নিয়ে মানসবাবু জানান, পূর্ব মেদিনীপুরে এই পদ্ধতিতে সাফল্য মিলেছে। দেখা গিয়েছে জলপথের পলিতে মাটির অংশ বেশি থাকায় তা ইটভাটায় ব্যবহৃত হয়। সেই কারণেই ইটভাটার সেই সব মালিকদের কাছেও সরকারিভাবে আবেদন পাঠানো হবে যাতে তাঁরা টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন। এর ফলে একদিকে যেমন রাজ্য সরকার নিখরচায় জলপথের নাব্যতা বাড়াতে পারবে, তেমনই সেই পলি নিজের কাজেও ব্যবহার করতে পারবে সংস্থাগুলি। মানসবাবুর দাবি, দেশে প্রথমবার এই ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে রাজ্যের জলসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে প্রতিবছর ন্যূনতম ৫০০ কোটি টাকা করে আয় দেওয়া সম্ভব হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এবার থেকে খাল-বিল, নদী-নালা সংস্কারের জন্য কোষাগার থেকে আর খরচ করবে না রাজ্য সরকার।
  • তার পরিবর্তে যে সংস্থা সংস্কার করবে, তাকেই পলি-মাটির দাম বাবদ টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
  • এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচদপ্তর।
Advertisement