বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ‘বিজেমূল’ কাঁটা যেন বিঁধেই রয়েছে আলিমুদ্দিনের অন্দরে। এ নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের তোপের মুখে বঙ্গ সিপিএম (CPM)। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেই কেন পার্টি ‘বিজেমূল’ শব্দ প্রচারে তুলে ধরল? সূর্যকান্ত মিশ্রদের ভর্ৎসনার সুরেই এই প্রশ্ন করলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। আর তাঁর রুদ্রমূর্তি দেখেই ‘বিজেমূল’ শব্দ ব্যবহার ভুল হয়েছে বলে রাজ্য কমিটির বৈঠকের শুরুতেই স্বীকার করে নিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বিজেপি ও তৃণমূলকে এক সারিতে বসিয়ে বিরোধিতাটাও যে ভুল হয়েছিল, তাও স্বীকার করে নেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির (Central Committee) পথ অনুসরণ করে রাজ্য ও এরিয়া কমিটির সদস্যদের বয়সসীমা বেঁধে দেয় আলিমুদ্দিন। যদিও বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বেশ তোলপাড় হয় বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। বাংলার ভোটে ভরাডুবির পর সংগঠনের নেতৃত্বে খোলনলচে বদল করার সিদ্ধান্ত নেয় পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। সেইমতো রাজ্য পার্টির সদস্যদের বয়সসীমা সত্তর ও এরিয়া কমিটির সদস্যদের বয়স সর্বোচ্চ পঁয়ষট্টি বছরে বেঁধে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Suryakanata Mishra)।
[আরও পড়ুন: ‘খেলা হবে’ দিবসে দলের সব সাংসদকে হাজির থাকতে হবে Tripura-য়, নির্দেশ TMC সুপ্রিমোর]
বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন একাধিক রাজ্য কমিটির সদস্য। অধিকাংশের ব্যাখ্যা, সংগঠনের নেতৃত্বে নতুন মুখ অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু প্রবীণ ও নবীন মুখের ভারসাম্য বজায় না রাখলে সংগঠনের ক্ষেত্রে তা ক্ষতিকর হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। ২০০৮ সাল থেকে পার্টির রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি প্লেনাম হয়েছে। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। মূলত প্লেনামে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত না হওয়ার ফলেই পার্টির এই করুণ দশা বলে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের উদ্দেশে তোপ দাগেন রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্য।