সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন যেন তালিবানের আফগানিস্তান পুনর্দখল করা! এমনই মন্তব্য করেছেন ইরানের এক প্রাক্তন সাংসদ। এই তুলনায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কিন্তু তালিবান? তারা কী বলছে বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে? তালিবান সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল কাহার বলখির আশা, আফগানভূমের সঙ্গে ‘সম্পর্কের নতুন অধ্যায়’ শুরু হতে পারে আমেরিকার।
২০২১ সালে কাবুল থেকে সরে যায় মার্কিন সেনা। তখন সদ্য ক্ষমতায় এসেছেন জো বাইডেন। এর পরই সেখানে প্রবেশ করে তালিবান। দ্রুত দখলও নিয়ে ফেলে 'কাবুলিওয়ালার দেশ'। তালিবানের আশা, ট্রাম্প ফিরলেও পরিস্থিতি তাদের জন্য বদলাবে না। অর্থাৎ নতুন করে আফগানিস্তানে সরাসরি সেনা পাঠানোর দিকে ঝুঁকবে না আমেরিকা।
কিন্তু পরিস্থিতি তেমন নাও হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তাদের মতে, রিপাবলিকানদের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন তালিবানদের জন্য অশনি সংকেত হতে পারে। আর সেটা হয়তো বুঝছে তালিবানও। তাই সাবধানী হয়ে কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে তারা। এক্স হ্যান্ডলে বলখি লিখছে, 'ট্রাম্প প্রশাসন বাস্তবানুগ পদক্ষেপ করবে দুই দেশের অগ্রগতিকে আরও মজবুত করতে। এবং দুই দেশের মধ্যে সূচিত হবে এক নতুন অধ্যায়ের।'
সত্যিই কি ট্রাম্প তালিবান নিয়ে নতুন করে কিছু ভাববেন? এর উত্তর সময়ের গর্ভে। এপ্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া যাক, ২০২০ সালে আমেরিকা-তালিবান দোহা চুক্তি কিন্তু ট্রাম্পের সময়ই হয়েছিল। আর তারই ফলশ্রুতি পরের বছর মার্কিন সেনা প্রত্যাহার। আবার এও সত্যি, যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবলিউ বুশের আমলে আমেরিকার নেতৃত্বে ন্যাটো হামলা চালিয়েছিল আফগানিস্তানে, তিনিও ছিলেন একজন রিপাবলিকান নেতাই। তাই আগামিদিনে আর এক রিপাবলিকান ট্রাম্প ফের নতুন করে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করার মতো কোনও পদক্ষেপ করবেন কিনা তা এখনই বলা কঠিন। তবে আগাম সতর্কতায় তালিবান এমন মন্তব্য করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।