সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক নিয়েও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার মুখ্যসচিবকে নিশানা করে টুইটারে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রশ্ন তোলেন, “কেন শুধু ডায়মন্ড হারবার? রাজ্য়ের বাকি ৪১ সংসদীয় এলাকায় পর্যালোচনা বৈঠক হল না কেন?” এরপরই বিজেপি বিধায়কের হুঁশিয়ারি, ২ সপ্তাহের মধ্যে সাংসদদের নেতৃত্বে অন্যান্য় জেলার জেলাশাসকরা পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন না করেন, তাহলেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা করা হবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে পালটা দিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, অভিষেক যা করেছেন তা দেশের কাছে রোল মডেল হতে পারে। কিন্তু বিজেপি তো ভোটপাথি, তারা এসব করবে না।
সমস্য়ার সূত্রপাত শনিবার। নিজের সংসদীয় এলাকার প্রশাসনিক কাজকর্মের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে পর্যালোচনা বা রিভিউ বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই অভিষেকের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে গণতন্ত্র নয়, স্বৈরতন্ত্র চলছে। এমনকী, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। রবিবার টুইটারে একাধিক নথি তুলে রাজ্য়ের মুখ্যসচিবের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।
[আরও পড়ুন: ২৯ জানুয়ারি-৪ ফেব্রুয়ারির Horoscope: কেমন কাটবে আপনার এই সপ্তাহ, জেনে নিন রাশিফলে]
টুইটারে শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, “গত ৪ বছরে রাজ্যের কোনও লোকসভাতে সাংসদদের নেতৃত্বে পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করা হয়নি। কেন শনিবার শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবারে রিভিউ মিটিং করা হল? বাকি ৪১টি লোকসভা কেন্দ্রে কেন এই বৈঠক হল না?” মুখ্যসচিবকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা লেখেন, “আমি আশা করি, বাকি ৪১টি লোকসভা কেন্দ্রেও জেলা শাসকরা পর্যালোচনা বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন। দু’সপ্তাহে অপেক্ষা করব, না হলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করব।” রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, “বৈঠক আয়োজন না হলে, আপনার (মুখ্যসচিব) পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের জন্য আদালতে জবাব দিতে তৈরি থাকুন।”
[আরও পড়ুন: আদানির অবক্ষয়ে রক্তাক্ত শেয়ার বাজার, দু’দিনে ১১ লক্ষ কোটি খোয়ালেন বিনিয়োগকারীরা]
শুভেন্দুরে পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ডায়মন্ড হারবারে যা করেছেন তা দেশের কাছে রোল মডেল। এরকম কাজের কথা বিজেপি ভাবতেও পারবে না। তৃণমূল সারা বছর সমাজনীতি করে, আর ভোটের আগে রাজনীতি। কিন্তু বিজেপি তো ভোটপাখি। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়।” তৃণমূল সাংসদের পরামর্শ, “গোটা দেশে অভিষেকের মডেল অনুসরণ করুক, তাতে ভারতবাসীর উপকার হবে।”