সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে জেডিইউ। দলের এই অবস্থান মেনে নিতে না পেরে সরে দাঁড়ালেন দুই শীর্ষ নেতা। জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমারকে চিঠি লিখে তাঁরা জানিয়েছেন, ওয়াকফ বিল মুসলিম বিরোধী। সেই বিলকে সমর্থন করে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ থেকে সরে গিয়েছে জেডিইউ। তাই হতাশ হয়ে দল ছাড়ছেন তাঁরা।
শুরুর দিকে ওয়াকফ বিলের বিরোধী ছিল জেডিইউ। তবে পরে দলের তরফে প্রকাশ্যেই জানানো হয়, বিলকে সমর্থন করবে তারা। লোকসভায় বিল পাশ হওয়ার পরেই দল ছাড়েন সংখ্যালঘু শাখার প্রধান মহম্মদ আশরাফ আনসারি। তিনি জেডিইউ সুপ্রিমোকে চিঠি লিখে জানান, ভারতীয় মুসলিমদের অনেকেই মনে করতেন ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের পতাকাবাহক হলেন নীতীশ। কিন্তু সেই বিশ্বাস ভেঙেছে। ওয়াকফ বিল ভারতীয় মুসলিমদের বিরোধী। জেডিইউ যেভাবে ওয়াকফ বিলকে সমর্থন করেছে তাতে আমরা মর্মাহত।
জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা কাশিম আনসারিও। চিঠিতে তাঁর দাবি, জেডিইউকে জীবনের এতগুলো বছর দিয়েও আজ তিনি হতাশ। ভারতীয় মুসলিমদের বিরোধী ওয়াকফ বিলকে কোনও অবস্থাতেই মেনে নেওয়া উচিত নয়। সংবিধানের আদর্শও লঙ্ঘন করেছে এই বিল। কিন্তু সেই বিষয়টি বুঝতেই পারছেন না নীতীশ এবং তাঁর দল।
উল্লেখ্য, লোকসভার পুনরাবৃত্তি রাজ্যসভাতেও। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার বিতর্কের পর ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বিলটির পক্ষে ভোট দিলেন ১২৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিলেন ৯৫ জন। প্রায় ভোররাত পর্যন্ত অধিবেশনে নজিরবিহীন ভাবে ভোট দিলেন রাজ্যসভার সব সদস্য। এমনিতে ভোটাভুটিতে এনডিএ জয়ী হবে সেটাই প্রত্যাশিত ছিল। কারণ নীতীশ কুমারের জেডিইউ আগেই ঘোষণা সরকারকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল, একই পথে হাঁটে টিডিপিও। এমনকী ওড়িশার বিরোধী দল বিজেডিও দলীয় সাংসদদের কোনও হুইপ জারি করেনি। বিজেডির সাংসদরা নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিয়েছেন।