সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে ফের পুরনো বিতর্ক উসকে তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালের ভাষণের আগে তিনি চিঠি পাঠিয়ে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ জটিলতার কথা মনে করিয়ে দিলেন। বরানগর ও ভগবানগোলার বিধায়কদের শপথ 'বেআইনি' বলে মনে করেন খোদ রাজ্যপালই। তাই বাজেট অধিবেশনের আগে শুক্রবার এবিষয়ে দুজনকে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজভবন। তারই সূত্র ধরে সোমবার বিধানসভায় গিয়ে রাজ্যপালের সূচনা ভাষণের ঠিক আগে তাঁকে চিঠি দিয়ে ফের শপথ জটিলতার কথা মনে করালেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যপালকে লেখা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি।
নবান্ন-রাজভবনের দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে এই বাজেট অধিবেশনে বিধানসভায় গিয়ে বক্তব্য রাখতে রাজি হয়েছেন রাজ্যপাল তথা সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস। সোমবার দুপুর ২টোয় তাঁর ভাষণের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে রাজ্যের বাজেট অধিবেশন। তৃতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ফলে তার গুরুত্ব আলাদা। এই অবস্থায় স্পিকারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বিধানসভায় গিয়ে ভাষণ দেবেন রাজ্যপাল। কিন্তু তার ঠিক আগেই নয়া বিতর্ক উসকে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ''এখানে উপনির্বাচনে জিতে আসা দুজন বিধায়ক যেভাবে শপথ নিয়েছেন, তা সংবিধান বহির্ভূত। এভাবে শপথ নেওয়া যায় না। রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, নতুন করে শপথ না নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমরা অপেক্ষায় আছি, এই নিয়ে রাজ্যপাল কী সিদ্ধান্ত নেন, তার জন্য।''
প্রথম দফায় রাজ্য বাজেট অধিবেশন চলবে আজ অর্থাৎ ১০ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সোমবার সূচনার পর ১১ তারিখ সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জন্য বিধানসভায় শোক প্রস্তাব আনা হবে। তারপর দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যাবে অধিবেশন। ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটেয় বাজেট পেশ করবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এরপর ১৩ তারিখ রাজ্যপালের ভাষণের উপর চার ঘণ্টা আলোচনা হবে। ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি থাকবে বিধানসভা। এরপর ফের ১৭ তারিখ অর্থাৎ সোমবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর ফের আলোচনা হবে। পাশাপাশি আগামী ১৮ তারিখ চার ঘণ্টা ও ১৯ তারিখ তিন ঘণ্টা বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে।
এরপর ১০ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত পরবর্তী দফাওয়াড়ি বাজেট পেশ হবে। ওইসময় সরকারের যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল থাকে সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই জায়গা থেকে দেখতে গেলে এটাই হতে চলেছে বিধানসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। সুতরাং এই বাজেট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
