রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তরুণী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে আগেই দল থেকে সাসপেন্ডেড হয়েছে। এবার দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হল প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে। শনিবার নির্ধারিত সময়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের সদর দপ্তরে তিনি হাজির হন। নজর কাড়ল তাঁর পোশাক। সাদা-খয়েরি চেক শার্টের বাঁ দিকে একটি ব্যাজ। তা বহু পরিচিত, 'অভয়া'র বিচারের দাবিতে তৈরি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠা তন্ময়বাবু পোশাকে ওই ব্যাজ দেখে বাঁকা হাসি হাসছেন অনেকেই। কী বার্তা দিতে চাইছেন তিনি, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহ দুই আগে। দমদম উত্তরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যর বাড়িতে সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে শ্লীলতাহানির মুখে পড়েন বলে অভিযোগ জানান তরুণী সাংবাদিক। প্রথমে ফেসবুক লাইভ এবং পরে বরানগর থানায় তিনি সবিস্তারে অভিযোগ জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে তন্ময়বাবুকে একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বরানগর থানায়। এর পর দল তাঁকে সাসপেন্ড করে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির তদন্তের আওতায় আনা হয়। শনিবার সেই তিন সদস্যের কমিটির মুখোমুখি হলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিনের দপ্তরে তাঁকে প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এদিন শুধু তাঁর বক্তব্যই শোনা হয়েছে বেরিয়ে জানান তন্ময়বাবু।
তাঁর কথায়, ''আমি আগেও বলেছি, এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এখনও তাই বলেছি। ওঁরা আমাকে যে যে প্রশ্ন করেছিলেন, আমি সব কিছুর উত্তর দিয়েছি। আমার বক্তব্যের মাঝে কেউ বাধা দেননি বা পালটা প্রশ্ন করেননি। আবারও আসতে হবে কি না, জানি না। সেটা তাঁরা জানাবেন। জানালে আবার আসব।'' সাসপেনশন নিয়ে কি কমিটিতে কিছু জানিয়েছেন? এর জবাবে তন্ময়বাবু বলেন, ''এটা তো ওই বিষয়ে কথা বলার জায়গা নয়। পার্টির কমিটিতে এনিয়ে কথা হতে পারত। তবে আমি এখন সাসপেন্ডেড। যতদিন না সাসপেনশন প্রত্যাহার হবে, ততদিন কিছু বলার কোনও অধিকার নেই আমার।'' এনিয়ে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির সদস্য, নদিয়ার জেলা সম্পাদক সুমিত দে-র বক্তব্য, ''তাঁর কথা শুনেছি। এবার আমরা নিজেরা আলোচনায় বসব। সব নিয়ম মেনেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'' তবে এদিন তন্ময়বাবুর শার্টের 'অভয়া' ব্যাজ ছিল রাজনৈতিক মহলের আলোচনার কেন্দ্রে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে কাঠগড়ায় ওঠা নেতা তি তবে নিজেকে 'নির্দোষ' বোঝাতে ওই ব্যাজ পরে গেলেন?