ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের ইতি। সোমবার নবান্ন থেকে কেন্দ্রের এই প্রকল্প রাজ্যে চালু করার অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।পাশাপাশি দাবি জানালেন কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের।
‘কিষাণ সম্মান নিধি’ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে চাপানউতোর চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চিঠি আদান-প্রদানও হয়েছে। ফোনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে কথা বলেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরই সোমবার এই প্রসঙ্গে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র আসলে রাজ্যকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। সেই কারণে সরাসরি সব কিছু করতে চায়।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমরা এখন জেনেছি কৃষকদের তথ্য নথিভুক্ত করতে কেন্দ্র একটি আলাদা পোর্টাল করেছে। সেটির তথ্য রাজ্যের কাছে নেই। অথচ বারবার বলা হচ্ছে রাজ্য কোনও তথ্য ভেরিফাই করছে না। ওদের কাছে বাংলা হয়তো অচ্ছুত। কিন্তু আমার কাছে কৃষকরাই সবার আগে। তাই সব জানার পরও আমি ওদের বলেছি তথ্য পাঠিয়ে দিতে, আমরা ভেরিফাই করে দেব। কৃষকদের নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে আমি রাজি নই।” তিনি বলেন, “কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের সমস্ত কৃষকই পান। কেউ যদি বাড়তি হিসেবে কেন্দ্রেরটা পান, তাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।”
[আরও পড়ুন: CBI’এর নোটিস পেয়েও হাজিরা এড়ালেন কয়লা পাচারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র]
প্রথম থেকেই ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও (Jagdeep Dhankhar)। পরবর্তীতে এই প্রকল্প বাংলায় চালুর জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যের দাবি ছিল, টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে না পাঠিয়ে তাঁদের কাছে পাঠানো হোক। রাজ্যই তা বন্টন করবে। অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি তারা সরাসরি টাকা পাঠাবে কৃষকের অ্যাকাউন্টে। এই নিয়ে সংঘাতের কারণে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কৃষকরা কেন্দ্রের ওই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ঘোষণার পর সকলেরই ধারণা, সমস্যা এবার মিটবে।