সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোমাবাজি, গুলি, রক্তক্ষয় – পঞ্চায়েত ভোটের নামে রাজ্যে সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তবে একুশে জুলাইয়ের (21 July TMC Shahid Diwas) মঞ্চ থেকে অভিযোগ নস্যাৎ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনী আবহে প্রাণহানিকে রাজনৈতিক বলে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয় বলেই মত তাঁর। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠনের আরজি জানান মমতা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার কথা মেনে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল নেত্রীর দাবি অনুযায়ী, ভোটের দিন মোট ১৫ জনের প্রাণহানি হয়। আর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২৯ জন। সিপিএম ও বিজেপির ৩ জন করে মোট ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তৃণমূল কর্মী। মমতার দাবি, ৭১ হাজারের মধ্যে ৩টি বুথে অশান্তি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও কোচবিহার। হিংসার নেপথ্যে বিজেপি দায়ী বলেই অভিযোগ তাঁর। নাম না করে ভাঙড়ে অশান্তির জন্য আইএসএফকে দায়ী করেছেন তিনি। তাদের ‘হাঙর’ বলেও কটাক্ষ মমতার।
[আরও পড়ুন: ক্রীড়াজগতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুক্তি! এমবাপেকে ধরে রাখতে অবিশ্বাস্য প্রস্তাব পিএসজির]
হিংসার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাম জমানায় ২০০৩ এবং ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বাংলার ৭০ হাজার পুলিশ। ৮০ হাজার দিল্লির। তারা সকলেই নেতিবাচক। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে দুঃখিত। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ৮৯ জন এবং ২০০৮ সালে ৩৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে।”
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসাকে ‘সামাজিক সমস্যা’ বলেই দাবি মমতার। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতে ভোটে একই পরিবারের ৪ জন লড়েন। কখনও বাবা ছেলের বিরুদ্ধে। মা মেয়ের বিরুদ্ধে লড়েন। ঝগড়াঝাটি হয়। এটা আসলে সামাজিক সমস্যা।” বিজেপি পরিকল্পনা করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলেই দাবি মমতার। তাই শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠনের আরজি জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।