ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: যে কোনও নির্বাচনে নতুন মুখের সন্ধান রাজনৈতিক দলের অন্যতম কর্মসূচি। বাংলার শাসকদল সেদিক থেকে আরও অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে থাকে প্রতি নির্বাচনের আগে। এবারও লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) আগে নতুন মুখ খুঁজতে তৃণমূল ভবনে বসল ড্রপ বক্স। নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী প্রার্থীরা নিজেদের বায়োডাটা (Biodata) জমা দিতে পারবেন ওই বক্সে। শনিবারের মধ্যেই জমা পড়া আবেদন পৌঁছে যাবে কালীঘাটের কার্যালয়ে। সেখানেই চূড়ান্ত স্ক্রুটিনি হবে বলে খবর। এর পর রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ থেকে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে এবারের লোকসভার লড়াইয়ে ঘাসফুল শিবির থেকে নতুন কোনও মুখ উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল।
নতুন প্রার্থীর (Candidates) খোঁজে আগে থেকেই তৃণমূল শিবিরে আবেদন জমা পড়ছিল। তার সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকলে গত বুধবার তৃণমূল (TMC) ভবনে ড্রপ বক্স বসানো হয়। এর আগে একুশের নির্বাচনেও একইভাবে তৃণমূল ভবনে ড্রপ বক্স বসিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। এবারও একই পদ্ধতি। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৯৫টি আবেদনপত্র (Application) জমা পড়েছে লোকসভা ভোটে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হতে চেয়ে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী, ডাক্তার, অধ্যাপক, সমাজকর্মী-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে থেকে কাকে নতুন মুখ হিসেবে তুলে আনা হবে অথবা কাউকে আদৌ তা হবে কি না, তা বোঝা যাবে কয়েকদিনের মধ্যেই।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিন সন্দেশখালিতে সভার অনুমতি পেলেন শুভেন্দু, জারি একাধিক শর্ত]
তৃণমূল ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, রাজ্যের ৪২ আসনে মোটের উপর পুরনোতেই ভরসা রাখছে দল। বেশিরভাগ আসনে বিদায়ী সাংসদদের আবার প্রার্থী করার সম্ভাবনা প্রবল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের প্রকৃতি অনুযায়ী, নতুন কাউকে দিল্লির দরবারের দেখা যেতেই পারে। সেই নতুন প্রার্থী কি সেলিব্রিটি নাকি সমাজের অন্য কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি অথবা সাধারণ কোনও তৃণমূল কর্মী?
[আরও পড়ুন: ‘আল্লা আছে, বিচার হবেই’, নিজাম প্যালেসে হুঙ্কার ‘বাহুবলী’ শাহজাহানের]
এদিকে, আধার বাতিল ইস্যুতে আগামী সপ্তাহে দিল্লির বুকে সরব হওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল অল ইন্ডিয়া নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ। তৃণমূলেরও শামিল হওয়ার কথা ছিল। ১১ তারিখ যন্তরমন্তরের সেই প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি মেলেনি। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে তফসিলি জাতি, উপজাতি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনের আধার কার্ড বাতিল হওয়া ইস্যুটিকে নিঃসন্দেহে বিজেপি বিরোধিতায় বড় হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল।