বিধান নস্কর, সল্টলেক: প্রায় ৬ ঘণ্টা পর বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে বেরল সিবিআই। তার পর হাসিমুখে বাড়ি থেকে বেরলেন তিনি। বললেন, “আমাদের দোষ তৃণমূল করি।”
দেবরাজ বলেন, “সকাল ৮টায় বাড়িতে আসে সিবিআই। আমি ছিলাম না। মা ফোন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাতজন। সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল। সার্চ করেছেন প্রতিটি ফ্লোর। উপযুক্ত প্রমাণ পাননি। আমার, আমার পরিবার, সংস্থার আয় সংক্রান্ত তথ্য নেয়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এসেছিলেন। আমার দুটি বাড়িতে তল্লাশি চলে। আমি বলেছি আগামিদিনেও তদন্তে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করব। কিছু নথিপত্র স্ক্রুটিনির জন্য নিয়ে গিয়েছে। সার্চ লিস্ট দিয়ে গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: সন্তান নিজের নয়! সন্দেহের বশেই আটমাসের শিশুকে ‘খুন’ বাবার]
আত্মবিশ্বাসের সুরে তিনি বলেন, “প্রাথমিক নিয়োগ সম্পর্কিত কোনও নথি আমার কাছে পায়নি। পাওয়ার কথাও নয়।” ঘাসফুল শিবিরের কাউন্সিলর বলেই তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে, দাবি দেবরাজের। তিনি বলেন, “আমি এবং আর যাঁদের বাড়িতে সিবিআই, ইডি তল্লাশি করছে, দোষ আমরা তৃণমূল করি। আমরা গর্বিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।” উল্লেখ্য, এর আগে ফিরহাদ হাকিমও শাহী সভার পরদিনই সিবিআই তৎপরতাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি করেছেন।