স্টাফ রিপোর্টার: ফলতায় নিজের সংসদীয় কেন্দ্রের বিজয়া সারতে গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর কর্মসূচির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা। অভিষেক নিজের এলাকায় গেলে তাঁকে ঘিরে প্রবল উন্মাদনা তৈরি হয়। বাড়তি নিরাপত্তাও রাখতে হয়। কেন এত বাড়তি নিরাপত্তা সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। রবিবার তা নিয়ে পালটা নিজের এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) আসানসোলে গত বছর শুভেন্দুর কম্বল বিতরণের পর ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করান। লেখেন, “বিরোধী দলনেতা বোধহয় ভুলে গিয়েছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকলে কী হতে পারে। গত বছর ডিসেম্বরে আসানসোলে তাঁর কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই কর্মসূচির কোনও পুলিশি অনুমতিই ছিল না।”
অভিষেকের কর্মসূচির দিন কালীঘাট থেকে ফলতা পর্যন্ত বিভিন্ন থানা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু লেখেন, “দেশের রাষ্ট্রপতিকেও কি এত দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা দেওয়া হয়?”
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উড়িয়ে ফাটল দেদার বাজি, দীপাবলির পরই ফের ‘গ্যাসচেম্বার’ দিল্লি!]
কুণাল এর পরই শুভেন্দুর উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার খরচের প্রসঙ্গ টেনে। তথ্য দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র লেখেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আমাদের ফকির প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খরচ ৫৪০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬০০ কোটি টাকা করেছে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় দৈনিক খরচ এক কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা।”
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে বিরোধী দলনেতা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে শুভেন্দু বেরিয়ে যেতেই সেই অনুষ্ঠানে কম্বল নিতে গিয়ে প্রবল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জন প্রাণ হারান। জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন। অভিযোগ, খবর পাওয়ার পরও শুভেন্দু একবারের জন্যও ফিরে যাননি। অন্যদিকে, সেই মামলায় জিতেন্দ্রকে বেশ কিছু দিন জেল খাটতে হয়। কয়েক মাস তাঁর আসানসোল প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
এদিকে, নিজের কর্মসূচিতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন অভিষেক। পুজো বা বিজয়ার বস্ত্রদান করতে গিয়ে দেখা যায় বহু মানুষ একত্রে এসেছেন। তবে সুশৃঙ্খলভাবে বস্ত্রদান অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তার জন্য আগামী বছর থেকে অভিনব উদ্যোগের কথা বলেন অভিষেক। জানিয়ে দেন, পরের বছর থেকে বাড়ি গিয়ে বস্ত্রদান করা হবে। সেই দায়িত্বও দিয়েছেন তাঁর প্রতিনিধিদের।