সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভায় বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি বিরোধী বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন অযাচিত বিতর্কের জন্ম দিলেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দিনহাটার বিধায়ক বিএসএফের বিরুদ্ধে রীতিমতো শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে বসলেন। যা নিয়ে সরগরম বিধানসভা। পালটা এসেছে বিএসএফের তরফেও।
মঙ্গলবারই রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে বিএসএফের কাজের পরিধি বৃদ্ধি বিরোধী প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় উদয়ন গুহ বলেন, “বিএসএফের অত্যাচার যারা চোখে দেখেনি তারা বিশ্বাস করতে পারবে না। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। বিএসএফ সম্পর্কে বুঝে যাবেন। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়ে দিয়ে আসলে রাজ্যে দ্বৈত শাসন প্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এরপরই বিতর্কিত মন্তব্যটি করে বসেন তিনি। বলে দেন, “তল্লাশির নামে ৮-১০ বছরের ছেলের সামনে যখন বাবাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়, মায়ের গোপন জায়াগায় হাত দেওয়া হয়। তখন ওই ছেলে দেশপ্রেমিক হতে পারে না। ওর কানের কাছে যতই ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলা হোক, সে কিন্তু দেশপ্রেমিক হবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘পা ভেঙে দেব’, বিধানসভায় মিহির গোস্বামীকে হুঁশিয়ারি উদয়ন গুহর! ক্ষুব্ধ স্পিকার]
উদয়নের এই মন্তব্য শোনার পরই রীতিমতো ফুঁসে ওঠেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে অপমান করেছেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত বিধায়ক। এই মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভা কক্ষে হুলুস্থুল বাঁধিয়ে বসে বিজেপি। হস্তক্ষেপ করতে হয় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি বিধায়কদের থামিয়ে উদয়নকে তিনি এই ধরনের মন্তব্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। পরে দিনহাটার বিধায়কের বক্তব্যের বেশ খানিকটা অংশ রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: Duare Ration: ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে ৪২ হাজার কর্মসংস্থান, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তব্য, তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্য দেশদ্রোহিতার সমান। একই সুর শোনা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যেও। উদয়ন গুহর জবাবের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে বিএসএফের তরফেও। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (BSF) এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন,”বিএসএফ একটা পেশাগত সংস্থা। আমরা আমাদের যা দায়িত্ব দেওয়া হয়, তা নিয়ম মেনেই পালন করি। বিএসএফের মহিলা প্রহরীরা মহিলাদের তল্লাশি করেন। মহিলাদের খারাপভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন।”