নন্দিতা রায়: সন্ত্রাসবাদী পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এই মুহূর্তে বিদেশ ভ্রমণে সংসদের সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা। জাপান, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া সফরে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৮ জনের প্রতিনিধি দল। জাপানের বিদেশমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা, পালটা ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। জাপানের আশ্বাস, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকবে। প্রতিনিধি দলটি ফেরার পর কেন্দ্রের কাছে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের আর্জি জানালেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে তাঁর আবেদন, ''সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সেই সংলগ্ন সমস্ত খুঁটিনাটি এবং সর্বদল প্রতিনিধিদের বিদেশ সফর নিয়ে বিস্তারিত দেশবাসীর জানা উচিত। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে তা সর্বসমক্ষে আনার আবেদন জানাচ্ছি।''
এদিন জাতীয় পতাকার ছবি দিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর বার্তা, ''সর্বদলের প্রতিনিধিরা যে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে গোটা বিশ্বে ঘুরে ঘুরে সকলকে সবটা জানাচ্ছেন, তাতে আমি খুশি। আমি বারবারই বলেছি, তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় এক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাশে থাকবে। দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই আমাদের কাছে সমর্থনযোগ্য। এবার আমি কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যে সর্বদলের প্রতিনিধিরা বিদেশ ভ্রমণ সেরে ফিরে আসার পর সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। আমি মনে করি, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় খবরাখবর সবার আগে দেশবাসীর জানা উচিত।''
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা সৌন্দর্য উপভোগের সময় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মুখে পড়েন পর্যটকরা। জঙ্গিদের বুলেটবৃষ্টিতে প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ মানুষ। নিহতের তালিকায় বাংলার ৩ জনও ছিলেন। দেশের এমন সংকট মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পাশে থাকবে বলে আগাগোড়া নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল বাংলার শাসকদল। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর এহেন হামলার পালটা দিয়ে ৭ মে মাঝরাতে ভারতীয় সেনার তরফে অপারেশন সিঁদুর চালানো হয়। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় সেনার আক্রমণ।
পাকিস্তানকে যথোপযুক্ত 'শিক্ষা' দেওয়ার পর কেন্দ্র এভাবে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীদের মুখোশ খুলতে বিশ্ব দরবারে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো এই উপমহাদেশ ছাড়াও পশ্চিমের দেশগুলিতে সফর করছেন প্রতিনিধিরা। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, দলটি বিদেশের কাজ সেরে ফেরার পর সংসদের বিশেষ অধিবেশন করে দেশবাসীকে সবটা জানানো উচিত।