ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে একটা ভুলকে একশো করে দেখাচ্ছে বিজেপি। আত্মতুষ্টি ভুলে দলকে সেশ্যাল মিডিয়াতেই পালটা ঝাঁজালো প্রচারে নামার বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ১৩ মে থেকে প্রচার শুরুর নির্দেশ রাজ্যের শাসকদলের। শুক্রবারের পর রবিবার দলের বিধায়ক, জেলা সভাপতি, কো-অর্ডিনেটরদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
প্রথমেই এই বৈঠকের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করে দেন সভাপতি ও মহাসচিব। তারপরই অভিষেকের বক্তব্যের পর মুখ খোলেন প্রশান্ত। গোটা বক্তব্যই হিন্দিতে রাখেন তিনি। সূত্রের খবর, বৈঠকে দলীয় পদাধিকারীদের বলা হয়েছে, করোনা মোকাবিলা থেকে পরিযায়ী শ্রমিক ফেরানো, পশ্চিমবঙ্গের সরকারের কাজের তুলনা নেই। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে যথাযথ প্রচারের অভাবে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। একটা ভুল কোথাও হয়ে গেলে সেটাকেই ১০০ বলে অপপ্রচার করছে। তাই সেই অপপ্রচারের মোকাবিলায় পালটা প্রচার করে যেতে হবে। এই প্রচারের প্রথমেই রাজ্যের কাজের সব পদক্ষেপ নিজেকে জানতে হবে। পরে জুম অ্যাপে সাংবাদিক বৈঠক করে তা মানুষকে জানাতে হবে। ১৩ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত চলবে তার প্রথম পর্ব। যার মূল বার্তা থাকবে একদিকে পরিযায়ী শ্রমিক।
[আরও পড়ুন: ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পে ভিনরাজ্যে আটকে থাকা ৩১ হাজার শ্রমিককে টাকা পাঠানো শুরু]
অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে রাজ্য সরকার যে ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা করছে তুলে ধরতে হবে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব। এই পর্বে প্রথমে ৫০ জন বিধায়ক প্রচার শুরু করবেন। করোনা নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি গুজরাট বা উত্তরপ্রদেশের থেকে অনেক ভাল। এই বিষয়টি তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে দেখানোর অভাবে বিজেপি তার সুযোগ নিয়ে মিথ্যা বলছে, অপপ্রচার করছে বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত। জানা গিয়েছে, তিনি বলেছেন, গুজরাট অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। বাংলা রয়েছে অনেক ভাল অবস্থায়। প্রচারে সেসব নিয়ে আসতে হবে। লকডাউনে মানুষ কেমন আছে, তা জানতে ইতিমধ্যে তাঁর দলের ১৫ হাজার কর্মী মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। তাতে মানুষের ক্ষোভ উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, প্রশান্ত বলেছেন, এই ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেই ক্ষোভে প্রলেপ লাগাতে হবে। অভিষেকের বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, অভিষেক কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা নিয়ে মানুষের কাছে আসল পরিস্থিতি তুলে ধরতে বলেছেন। বলেছেন, বিজেপি বিদ্যুৎ বিল মকুবের কথা বলছে। কেন্দ্রের কাছে পাওনা টাকা পেয়ে গেলে অবশ্যই সেসব মকুব করে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের ডিএ বা বেতন কেটে নেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, রাজ্য তো সেসব কিছু করেনি। সেসব প্রচারে তুলে ধরতে হবে। রাজ্য সরকার করোনো মোকাবিলায় প্রচুর কাজ করছে। ৬৮টি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করে দেওয়া হয়েছে। পিপিই দেওয়া হচ্ছে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। প্রচারে রাখতে হবে সেসবও।
[আরও পড়ুন: শ্রমিকদের পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ, রাজ্যকে চাপে ফেলতে কৌশল বঙ্গ বিজেপির]
The post আত্মতুষ্টি নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাঁজালো প্রচারের বার্তা তৃণমূলের appeared first on Sangbad Pratidin.
