shono
Advertisement
Abhishek Banerjee

কোচবিহারের বাসিন্দাকে NRC নোটিস! 'বাংলাভাষীদের টার্গেট বিজেপির', ফুঁসে উঠলেন অভিষেক

ইতিমধ্যেই ওই এনআরসি নোটিস নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Published By: Subhajit MandalPosted: 10:39 PM Jul 08, 2025Updated: 10:39 PM Jul 08, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি করার চেষ্টা হচ্ছে! রাজ্যে পায়ের তলার মাটি নেই বুঝতে পেরে বাংলাভাষীদের টার্গেট করছে বিজেপি! কোচবিহারের বাসিন্দাকে এনআরসি নোটিস পাঠানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Advertisement

আসলে গত জানুয়ারি মাসে, অসম থেকে আসা বাংলার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে গুয়াহাটি থেকে এনআরসির নোটিস পাঠানো হয়। ওই নোটিসে বলা হয়েছে, ভেরিফিকেশনের জন্য আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে অসমের কামরুপে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হাজিরা দিতে হবে। দেখাতে হবে ভারতীয় হওয়ার প্রমাণপত্র। কিন্তু উত্তমবাবুর দাবি, তাঁরা অসম থেকে এসেছেন ঠিকই। বংশ পরম্পরায় বাংলার বাসিন্দা। কেন আচমকা নতুন করে তাঁকে সেসব প্রমাণ দাখিল করতে হবে, তা নিয়ে ধন্দে পড়ে যান তিনি। আতঙ্কিত হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।

ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভপ্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, "আমি হতবাক ও অত্যন্ত বিচলিত হয়েছি জেনে যে, কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা রাজবংশী সম্প্রদায়ের উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল, এনআরসি নোটিশ জারি করেছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই বাংলার বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে বিদেশি/অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে হয়রানি করা হচ্ছে। এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটিই প্রমাণ করে যে অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তাদের কোনো ক্ষমতা বা অধিকার নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিশানা করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নোংরা চক্রান্ত চলছে। এই অসাংবিধানিক আগ্রাসন জনবিরোধী এবং এটি বিজেপির বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রকে দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক সুরক্ষাকে ধ্বংস করে বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।" বিজেপির এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার ডাকও দেন মমতা।

সেই সুরে সুর মিলিয়ে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই এনআরসি নোটিস নিয়ে ফুঁসে উঠলেন। তিনি বললেন, "এটি বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি চালু করার এক প্রতারণামূলক প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। যেখানে বিজেপির শাসন করার কোনও নৈতিক অধিকার নেই, জনমত নেই। তারা বাংলাভাষী নাগরিকদের মধ্যে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প মডেলের অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।" তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, "বাংলায় ক্ষমতা দখলের আগেই যদি বিজেপির ঔদ্ধত্যের মাত্রা এই হয়, তাহলে ক্ষমতায় এলে তারা কী ধরণের অস্থিরতা তৈরি করবে তা কল্পনা করা যায়।" অভিষেকের সাফ কথা, "এটা আর শুধুমাত্র রাজনৈতিক লড়াই নয়। এটি আমাদের সংবিধানের গণতান্ত্রিক, বহুত্ববাদী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি রক্ষার লড়াই। আমরা বিজেপির বিভাজনকামী, জনবিরোধী এবং কর্তৃত্ববাদী এজেন্ডাকে বাংলায় স্থাপন করতে দেব না।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি করার চেষ্টা হচ্ছে।
  • রাজ্যে পায়ের তলার মাটি নেই বুঝতে পেরে বাংলাভাষীদের টার্গেট করছে বিজেপি।
  • কোচবিহারের বাসিন্দাকে এনআরসি নোটিস পাঠানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
Advertisement