দীপালী সেন: পুলিশ কমিশনার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা। লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল বিধাননগর চত্বরে। এক মহিলার স্বামীকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হাতানো হচ্ছিল লক্ষ-লক্ষ টাকা। প্রতারকরা প্রচুর টাকা নেওয়ার পরও স্বামী জেল ছেকে রেহাই পায়নি। শেষে সেই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর (Bidhannagar Police) সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
বাগুইআটি অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা জ্যোতি সাহার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিবেশী মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার স্বামী অর্নিবাণ সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই মহিলার ফোনে অজানা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। ওই ব্যক্তি নিজেকে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার হিসেবে পরিচয় দেয়। জ্যোতির স্বামীর বিরুদ্ধে থাকা মামলা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা চায় সে। প্রথমে টাকা দিতে রাজি ছিলেন না জ্যোতি।
[আরও পড়ুন: গানের গুঁতোয় যন্ত্রণার যাত্রা! অটোয় তারস্বরে বাজছে লাউড স্পিকার, ধৃত ১৩০০ চালক]
এর পর একাধিক ফোন, হোয়াটসঅ্যার মেসেজ আসতে থাকে সেই নম্বর থেকে। হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি-তে বিধাননগর পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারের ছবি ছিল। যা দেখে তাকে বন্ধু ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে টাকা পাঠান জ্যোতি। দেড় লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা মেটেনি। তার পরেও তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে ওই যুবক। এমনকী, হুমকিও দেয় সে।
এর পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জ্যোতি। তদন্তে নেনে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শেখ আবদুল এবং সুশোভন সাহা। মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।