অর্ণব আইচ: পরিকল্পনা সাজিয়ে নিজেদের ব্যবসারই সোনা (Gold) লুট! যদিও এই ছক কষে বিশেষ লাভ হল না। ২৪ ঘণ্টার কম সময়েই ডাকাতির কিনারা করে ফেলল পুলিশ। অভিযোগ জানাতে গিয়ে জেরার মুখেই ভেঙে পড়ে ষড়যন্ত্রকারীরা। গিরীশ পার্ক (Girish Park) থানার পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম নীতীশ রায় এবং নীতীন রায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় কেজি সোনার বার। আজ তাদের আদালতে পেশ করা হবে।
সোমবার গিরীশ পার্ক থানায় ডাকাতির অভিযোগ দায়ের হয়। বলা হয়, সিংহী বাগান এলাকার জোড়াসাঁকো (Jorasanko)আবাসনের কাছে ট্যাক্সি চড়ে আসে দুই দুষ্কৃতী। সেসময় নীতীশ রায় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁর সঙ্গে সোনাদানা ছিল। দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালিয়ে সোনা লুট করে। তারপর ওই ট্যাক্সিতেই ফের পালিয়ে যান। এহেন অভিযোগ পেয়ে সন্দেহজনক বলে মনে হয় পুলিশের। নীতীশকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে গিরীশ পার্ক থানার পুলিশ। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কার্যত কেউটে বেরিয়ে পড়ে। টানা জেরার পুলিশ বুঝতে পারে, নীতীশ নিজেই এই কাজে জড়িত।
[আরও পড়ুন: ধর্মীয় ভাবাবেগে ‘আঘাত’, গ্রেপ্তার AltNews-এর সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইর]
পুলিশের দাবি, জেরার মুখে নীতীশ সব স্বীকার করে নেয়। সোনা লুটের গল্প তার নিজেরই মনগড়া। ভাই নীতীনকে সঙ্গী করে সে ডাকাতি করেছিল। গল্প বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য নিজেই নিজেকে আঘাতও করেছিল। সে কটকের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর অধীনে কর্মরত বলে জানা যায়। ওই ব্যবসায়ীর কলকাতার কাজের সম্পূর্ণ ভার ছিল নীতীশের উপর। সেই সুবাদে প্রচুর সোনার বার এসেছিল তার হাতে। তা লুটের ছক করেছিল।
[আরও পড়ুন: দলীয় কোন্দলে জর্জরিত গেরুয়া শিবির, বঙ্গ বিজেপির ক্ষত মেরামতে রাজ্যে আসছেন হেভিওয়েট নেতারা]
পরে তার ভাই নীতীনকে দমদমের নয়াপট্টি রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাতটি সোনার বার, যার একেকটির ওজন ১১৬ গ্রাম, আরেকটির ওজন ৭৪৩ গ্রাম। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ভাই নীতীনকে দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল নীতীশ, এমনই অনুমান তদন্তকারীদের।