সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলডাঙা বিস্ফোরণ মামলায় এবার UAPA আইন অর্থাৎ আনলফুল অ্য়াক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্টের (Unlawful Activities Prevention Act) ধারা যোগ করল NIA। ফরেন্সিক পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল, বিস্ফোরণে লোহার টুকরো-সহ যে ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে জঙ্গিযোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। এরপরই বেলডাঙা বিস্ফোরণ মামলায় UAPA আইনের ধারা যুক্ত করতে চেয়ে আদালতেল দ্বারস্থ হয়েছিল NIA। সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার রামেশ্বরপুর। মৃত্য়ু হয়েছিল ১ জনের। মৃতের সংখ্যা কম থাকলেও বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে তদন্তভার নিয়েছিল এনআইএ। তদন্তে নেমে দেখে, বোমায় যে ধরনের সরঞ্জাম ব্য়বহার হয়েছে তা সেনায় ব্যবহৃত গ্রেনেডের সমান। ঘটনাস্থল থেকে ৭৪টি গ্রেনেডও উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এধরনের সরঞ্জাম কোথা থেকে এল, কোনও সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ যুক্ত কি না, তা দেখতে তদন্ত চলছে। সেই মামলায় UAPA-র আইনের ধারা যুক্ত করতে চেয়ে আদালতে যায় এনআইএ।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচি তৃণমূলের, রামলীলা ময়দানে থাকার আবেদনে DCP-কে চিঠি ডেরেকের]
প্রসঙ্গত, বেলডাঙা থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় একটি বাগানের ছোট পাম্পের ঘরে বিস্ফোরণটি হয়েছিল। বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল গোটা ঘরটি। ইয়াসউদ্দিন শেখ ওরফে ছাদি শেখ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিল, ওই পাম্পের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল।