shono
Advertisement
Jagdeep Dhankhar

বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে ধনকড়ের ফোনে কথা, কাটবে ২ বিধায়কের শপথ জট?

দুই বিধায়কের শপথ জট কাটাতে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। সূত্রের খবর, ধনকড় বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করেছিলেন অধ্যক্ষকে। অধ্যক্ষ পরে জানান, উপরাষ্ট্রপতি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
Published By: Sayani SenPosted: 02:00 PM Jun 28, 2024Updated: 03:56 PM Jun 28, 2024

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দুই বিধায়কের শপথ জট কাটাতে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। সূত্রের খবর, ধনকড় বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করেছিলেন অধ্যক্ষকে। বিধানসভা সূত্রে খবর, অধ্যক্ষ উপরাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করে বলেন, "আপনি একসময় এই রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন। আপনার সময়েও এরকম একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনি বিধানসভায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান। আপনি এখন রাজ্যপালের সুপিরিয়র। আপনি রাজ্যপালকে বোঝান।" অধ্যক্ষ পরে জানান, উপরাষ্ট্রপতি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

সদ্য বরানগর ও ভগবানগোলার উপনির্বাচনে জয়ী হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। তাঁদের শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চলছে। রাজভবনের দাবি, শপথ গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠিয়ে সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত বুধবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দুজনকে রাজভবনে ডেকে পাঠান। কিন্তু বিধানসভাতেই শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় দুজনে। তাই রাজভবনে যাননি তাঁরা। পরিবর্তে ‘শপথবাক্য পাঠ করার জন্য রাজ্যপালের অপেক্ষায় রয়েছি’-এই প্ল্যাকার্ড হাতে বিধানসভায় ধরনায় বসেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন: ‘আমার ব্যাগে বোমা আছে’, কলকাতা বিমানবন্দরে দাবি যাত্রীর, তীব্র আতঙ্ক]

রাজ্যপালকে নিশানা করে তিনি বলেন, “জেতার পর একমাস ধরে বসে রয়েছেন আমার বিধায়করা। শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ ওঁদের নির্বাচন করেছেন। শপথ নিতে না দেওয়ার কী অধিকার রয়েছে ওঁর? স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন রাজ্যপাল, অথবা ডেপুটি স্পিকারকে দেবেন, তা না হলে নিজে বিধানসভায় আসবেন! রাজভবনে কেন যাবেন সবাই? রাজভবনের যা কীর্তি, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন। আমার কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।” যদিও এই মন্তব্যের পালটা শুক্রবার সকালে রাজভবনের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়াও দেওয়া হয়। মমতার অভিযোগকে মোটেও আমল দেওয়া হচ্ছে না বলেই রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়।

এদিকে, শপথ জটিলতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও চিঠি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে আবেদন জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যেন রাজ্যপালকে নির্দেশ দেন, যাতে তিনি স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দেন। চিঠিতে রয়েছে,রাজ্য়পাল চাইলে নিজে বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। এই পর্বে অনুঘটকের ভূমিকায় জগদীপ ধনকড়। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল, আবার বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্য বিধানসভা। এই চিঠির পরই ধনকড়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুই বিধায়কের শপথ জট নিয়ে জটিলতা আদৌ কবে কাটবে, সেদিকেই এখন নজর সকলের।

[আরও পড়ুন: জমি দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি, হাই কোর্টে জামিন পেলেন হেমন্ত সোরেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দুই বিধায়কের শপথ জট কাটাতে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা।
  • সূত্রের খবর, ধনকড় বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করেছিলেন অধ্যক্ষকে।
  • অধ্যক্ষ পরে জানান, উপরাষ্ট্রপতি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
Advertisement