shono
Advertisement
Euro Cup 2024

'কালো ঘোড়া' জর্জিয়াকে ৪ গোল, ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল বিধ্বংসী স্পেন

আত্মঘাতী গোলে একটা সময়ে ম্যাচে পিছিয়ে পড়েছিল স্পেন।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 02:22 AM Jul 01, 2024Updated: 02:34 AM Jul 01, 2024

স্পেন: ৪ (রড্রি, রুইজ, নিকো, আলমো)

Advertisement

জর্জিয়া: ১ (লে নরম্যান্ড- আত্মঘাতী)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরোর গ্রুপ পর্বে একটাও গোল খায়নি স্পেন। কিন্তু নকআউটে এসে গোল খেল ডে লা ফুয়েন্তের দল। তবে প্রতিপক্ষ নয়, স্পেনের গোলে বল পৌঁছে গেল এক স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের কারণেই। কালো ঘোড়া জর্জিয়ার বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গোল করে একটা সময়ে পিছিয়ে পড়েছিল স্পেন। তবে শেষ পর্যন্ত

যদি প্রশ্ন করা যায়, এবারের ইউরোতে (Euro Cup 2024) সবথেকে ধারাবাহিক এবং ছন্দবদ্ধ ফুটবল উপহার দিয়েছে কোন দল? এক কথায় উত্তর, স্পেন। গ্রুপ লিগের সবক’টি ম‌্যাচ তারা জিতেছে। শুধু জেতা নয়, প্রতিটি ম‌্যাচেই তাদের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত।নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে তৈরি স্প‌্যানিশ দল এবারের ইউরোতে ফুল ফুটিয়েছে। সেই অপ্রতিরোধ্য ছন্দ ধরে রেখেই রবিবার খেলতে শুরু করেছিল লা রোজা (Spain)। পাঁচ মিনিটেই লামালের পাস থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন পেদ্রি। ১১ মিনিটে পাওয়া কর্নারেও গোল হতে পারত।

কিন্তু ম্যাচে স্পেনের দাপুট ছবিটা পালটে গেল ১৮ মিনিটে। গোলের সুযোগ তৈরি করতে বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন কাকাবাদজে। সেই শট আটকাতে গিয়ে লি নরম্যান্ডের গায়ে লেগে জড়িয়ে যায় স্পেনের গোলে। চলতি টুর্নামেন্টে একাধিক আত্মঘাতী গোল দেখেছে ফুটবলবিশ্ব। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল এই ম্যাচও। পিছিয়ে যাওয়ার পরেও আরও বেশি আগ্রাসী ফুটবল খেলতে শুরু করে স্পেন। পরিসংখ্যান বলছে, কেবল ম্যাচের প্রথমার্ধেই ১০টি গোলমুখী শট নিয়েছে স্পেন। লাগাতার আক্রমণের পর অবশেষে ৩৯ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রড্রি। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন নিকো উইলিয়ামস। সেই শটে বাঁ পায়ে ছুঁইয়ে গোলের কোণ ঘেঁষে জালে জড়িয়ে দেন রড্রি। ১-১ ফলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

[আরও পড়ুন: ঝড়ে বন্ধ উড়ান চলাচল, বার্বাডোজেই আটকে বিশ্বকাপ জয়ী রোহিতরা

বিরতির পরে পেদ্রিকে বসিয়ে দানি আলমোকে নামান কোচ লা ফুয়েন্তে। ৫১ মিনিটের সেই চালের সঙ্গে সঙ্গেই গোল। ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েছিল স্পেন। সেখান থেকে শট নেন ইয়ামাল। কিন্তু সেই শট আটকে দেন জর্জিয়ার (Georgia) গোলরক্ষক। ফিরতি বল আবারও জর্জিয়ার বক্সের দিকে পাঠিয়ে দেন স্পেনের তরুণ তুর্কি। বল ভাসিয়ে দেন ফাবিয়ান রুইজের দিকে। সহজ হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। বিরতির পরেই ২-১ এগিয়ে যায় স্পেন।

তার পরেও সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে পর্তুগালকে তিন গোলে পরাস্ত করা জর্জিয়া। গোটা ম্যাচেই বল পজেশন ঝুঁকেছিল স্পেনের দিকে। তার মধ্যেও হাতেগোনা যে কয়েকবার জর্জিয়ার ফুটবলারদের পায়ে বল গিয়েছে, তৈরি হয়েছে গোলের সুযোগ। ৬২ মিনিটে কোচর‍্যাশভিলের শট আছড়ে পড়ে সাইড নেটে। তবে জর্জিয়ার যাবতীয় প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেন নিকো। ৭৫ মিনিটে রুইজের পাস থেকে গোলার মতো শটে গোল করেন তিনি। 

৩-১ পিছিয়ে পড়ার পরে ম্যাচে ফেরার উদ্যম হারিয়ে ফেলেছিল জর্জিয়া। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও সুযোগ তৈরি করে ম্যাচে প্রায় ৮০ শতাংশ বল পজেশন থাকা স্পেন। সেই চেষ্টার ফল ৮৩ মিনিটে আলমোর গোল। ক্লিয়ার করতে গিয়ে আলমোর পায়েই বল ঠেলে দেন ডিফেন্ডাররা। সেই বলেই শট করে গোলে জড়িয়ে দেন তিনি। পাঁচ গোল দিয়ে ম্যাচ শেষ করার চেষ্টা করেছিল স্পেন। অতিরিক্ত সময়েও একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন ইয়ামাল-নিকোরা। তবে সেই লক্ষ্যটা শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ৪-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল স্পেন। 

[আরও পড়ুন: ট্রফি হাতে মেসির মতো সেলিব্রেশন রোহিতের, ভারত অধিনায়ককে শুভেচ্ছা জানাল ফিফা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ম্যাচে স্পেনের দাপুট ছবিটা পালটে গেল ১৮ মিনিটে। গোলের সুযোগ তৈরি করতে বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন কাকাবাদজে। সেই শট আটকাতে গিয়ে লি নরম্যান্ডের গায়ে লেগে জড়িয়ে যায় স্পেনের গোলে।
  • বিরতির পরে পেদ্রিকে বসিয়ে দানি আলমোকে নামান কোচ লা ফুয়েন্তে। ৫১ মিনিটের সেই চালের সঙ্গে সঙ্গেই গোল।
  • পাঁচ গোল দিয়ে ম্যাচ শেষ করার চেষ্টা করেছিল স্পেন। অতিরিক্ত সময়েও একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন ইয়ামাল-নিকোরা। তবে সেই লক্ষ্যটা শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি।
Advertisement