গৌতম ব্রহ্ম: মৌনী অমাবস্যার 'পুণ্যস্নানে' পদপিষ্টের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, বাংলার অনেক বাসিন্দাও সেখানে রয়েছেন। সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে নবান্নের তরফে দিল্লি রেসিডেন্ট কমিশনের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে সূত্রের খবর, সে তথ্য যোগীরাজ্যের প্রশাসনের তরফে এখনও নবান্নের কাছে পৌঁছয়নি। তাই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবার বাংলার প্রতিনিধি দল যাচ্ছে প্রয়াগরাজে।
১৪৪ বছর পর বিরল ত্রিবেণী যোগ পড়েছে মহাকুম্ভে। বুধবার রাতে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে ছিল দ্বিতীয় ‘শাহী স্নান’। সূত্রের খবর, রাত ২টো নাগাদ সঙ্গমে স্নানের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। ১০ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে ভিড় জমান। তখনই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। এর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। পদপিষ্টের ঘটনায় অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলেও উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফে দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের উদ্দেশে শোকবার্তা দিয়েছেন। মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
গঙ্গাসাগর মেলার কথা উল্লেখ করে X হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “মহাকুম্ভে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত পুণ্যার্থীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। গঙ্গাসাগর মেলা থেকে আমি শিখেছি যে বিশাল জনসমাবেশে যেখানে অসংখ্য পুণ্যার্থীদের জীবন জড়িত থাকে, সেখানে পরিকল্পনা এবং পরিষেবা সর্বোচ্চ পর্যায়ের হতেই হবে। মৃতদের আত্মার প্রতি শান্তিকামনা করছি।"
