গৌতম ব্রহ্ম ও ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: অ্যাডেনো ভাইরাসের দাপটে রাজ্যজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এই মারণ ভাইরাস সবচেয়ে বড় শত্রু শিশুদের। তাঁদের বিপন্মুক্ত রাখতে তাই মঙ্গলবার নবান্নে জরুরী বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেখানেই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালকে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে একটি নয়া গাইডলাইন জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনও শিশুর চিকিৎসা পেতে যাতে সমস্যা না হয়, সেই কারণেই এই উদ্যোগ। সেই মতোই এদিন জারি হল নয়া নির্দেশিকা।
কী রয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের নয়া নির্দেশিকায়-
১. মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক (ARI) চালু রাখতে হবে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা।
২. আউটডোরে ভিড় কমাতে প্রতিটা মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টা পৃথক পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক চালু করা হবে। সঙ্গে রাখতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
৩. মেডিক্যাল সুপারিনট্যান্ড্যান্ট অথবা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে রেফার করা যাবে না।
৪. জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভেন্টিলেশন-সহ আইসিইউ, সিসিইউ তৈরি রাখতে হবে।
৫. চিকিৎসা পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট পিজিটি চিকিৎসক এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন।
[আরও পড়ুন: ‘স্পিকার আমাকে নিয়ে কিছু বলেননি’, ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে দাবি নওশাদের]
৫. চিকিৎসার সুবিধার্থে হেল্পলাইন নম্বর 1800-313444-222 চালু করা হল।
৬. আশা ও অঙ্কনওয়াড়ি কর্মীদের দিয়ে সাধারণের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus) নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি অভিযান চালাতে হবে।
৭. বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, কলকতা মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ-সহ মোট পাঁচটি হাসপাতালকে পেডিয়াট্রিক হাব হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
৮. চিকিৎসা ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৯. রাজ্যের প্রতিটি স্তরের হাসপাতালগুলি পরিচ্ছন্ন রাখতে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজেশনের করতে হবে।