নব্যেন্দু হাজরা: মঞ্চে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন প্রশাসনের তাবড় কর্তারা। তাঁদের সামনেই গান ধরলেন অভিনেতা-সাংসদ দেব। শোনালেন 'ও মধু... ও মধু/ আই লাভ আউ, আই লাভ ইউ।' তবে গান ধরার আগে জড়োসড়োভাবে জানালেন, "সিএমের সামনে সত্যি সব গুলিয়ে যায়।" তবে একা দেব নন, গানের সুরে নস্টালজিয়ায় ডুব দেন ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন থেকে জুন মালিয়া, সায়ন্তিকারা।
রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি স্টুডেন্টস উইক পালিত হয়েছে। বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়াম থেকে বিভিন্ন কৃতী পড়ুয়াদের পুরষ্কৃত করেন মমতা। সেই অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য বসু থেকে দেব, রচনা থেকে সায়ন্তিকা, সকলকে গান গাওয়ার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অনুরোধে প্রথমে গান ধরেন বিধায়ক অদিতি মুন্সি। শোনান 'আগুনের পরশমণি'। মমতার অনুরোধে লোকসঙ্গীত 'তোমায় হৃদ মাঝারে রাখব' শোনান সায়নী ঘোষ। গান শোনান জুন মালিয়া, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সোহম চক্রবর্তী স্বরচিত কবিতা শোনান।
'প্রিয় দিদি'র অনুরোধ ফেলতে পারেননি ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেনরা। পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল শোনান, "মনে পড়ে রুবি রায়, কবিতায় তোমাকে..."। সেই গানেই গলা মেলান ব্রাত্য বসুও। গান শুনে ইন্দ্রনীলের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জমিয়ে দিয়েছে।" সবশেষে ডাক পড়ে সুপারস্টার দেবের।
গান গাইতে প্রথমে রাজি হননি অভিনেতা-সাংসদ। বলেন, "সিএমের সামনে সত্যি সব গুলিয়ে যায়।" কিন্তু তাতেও ছাড়তে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। তখন দেব বলেন, "একটা গান আমার মাথায় এসেছে, কিন্তু এটা গাইলে এখন থেকেই ট্রোল হতে শুরু করব!" এ প্রসঙ্গে বলতে দিয়ে ২০১১ সালের শহিদ দিবসের মঞ্চে 'পাগলু ডান্স' প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বলেন, "২০১১ সালে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে পাগলু ডান্স গানটার হয়েছিল। এনিয়ে ট্রোল হয়েছে। আসলে লক্ষ লক্ষ দর্শক গানটা গেয়ে উঠেছিল।" এদিন ইন্দ্রনীল সেন তাঁকে 'কে তুমি নন্দিনী' গানটি গাইতে অনুরোধ করেন। দুই লাইন সে গান গেয়ে তারপরই 'ও মধু' গানটা ধরেন দেব। আর তাতেই উন্মাদনাই মেতে ওঠে অডিটোরিয়াম।